শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

​ঐতিহাসিক দিন: প্রধানমন্ত্রী

যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৪৭

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করাকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বিকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া দেখেন প্রধানমন্ত্রী। অপর চারজন হলেন- কুর্মিটোলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা, পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ট্রাফিক সদস্য দিদারুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।

টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন কি না সে বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তাদের সাহস যোগান, সশরীরে অনুষ্ঠানে থাকতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

সবাইকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি সেই সাথে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে এইটুকু শুকরিয়া আদায় করি যে, আমরা সময়মতো এই ভ্যাকসিনটা ক্রয় করতে পেরেছি, আনতে পেরেছি এবং তা আজকে প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের দেশের মানুষকে আমরা সুরক্ষা দিতে সক্ষম হব।”

তিনি বলেন, এরপর সারা দেশে টিকা দেওয়া শুরু করা হবে, যাতে দেশের মানুষ তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য সুরক্ষা পায়।

টিকা সংগ্রহ ও টিকাদান সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আজকে বাংলাদেশের জন্য একটা, আমি বলব এটা একটা ঐতিহাসিক দিন হল। কারণ বিশ্বের অনেক দেশও এখনও শুরু করতে পারেনি। সেখানে আমাদের মতো একটি দেশ, ঘনবসতিপূর্ণ দেশ সীমিত অর্থনৈতিক শক্তি নিয়েই আমরা কিন্তু মানুষের কল্যাণে যে কাজ করি সেটাই আজকে প্রমাণ হল।”

এ সময় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল প্রান্তে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টিকা দেওয়ার পর সপ্তাহখানেক তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে