আন্দামান সাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ৮১ জন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের কোনো ‘বাধ্যবাধকতা নেই’ বলে জানিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে. আব্দুল মোমেন।
ভারতের কোস্ট গার্ড এই রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে। এমন অবস্থায় রয়টার্সের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করলেন আব্দুল মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের নাগরিক নন, প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারের নাগরিক। পাওয়া গেছে বাংলাদেশ থেকে ১৭০০ কিলোমিটার দূরে। তাদের গ্রহণে আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’
‘তারা ছিল ভারত থেকে ১৪৭ কিলোমিটার দূরে। অন্য দেশের উচিত এই শরণার্থীদের দেখভাল করা।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বাংলাদেশকে কি রোহিঙ্গা অথবা নৌকায় ভাসা সারা পৃথিবীর শরণার্থীদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে?’
নিজেই উত্তর দিয়ে বলেন, ‘মোটেই না।’
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, ‘আমাদের কাছে খবর আসে গত ১১ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা-ভর্তি একটি নৌকো ছাড়ে। পরে তার ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায়। সেই খবর পেয়ে কোস্ট গার্ডের দুইটি জাহাজ পাঠানো হয়। নৌকায় ৬৪ জন নারী ছিলেন, তার মধ্যে আটজনের বয়স কম। ২৬ জন পুরুষ। যাত্রীদের মধ্যে আটজন মারা গেছেন। একজন নিখোঁজ।’
তিনি স্পষ্ট করে জানান, ভারত ওই রোহিঙ্গাদের দেশে রাখতে চায় না। বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায়, ‘নৌকার ৪৭ জন যাত্রীর কাছে ইউনাইটেড নেশন, হাইকমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর)-এর পরিচয়পত্র ছিল। তাতে লেখা, তারা মিয়ানমার থেকে ছিন্নমূল হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা চলছে।’
যাযাদি/ এস