​দেশের দুই কোটি মানুষ সৌরবিদ্যুতের আওতায়

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২১, ২০:০৩

যাযাদি ডেস্ক

 

বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ গ্রিডের কার্যক্রম রয়েছে। পরিষ্কার ও সাশ্রয়ী মূল্যের বিদ্যুতের আওতা বাড়ানোর জন্য অন্যান্য দেশ এখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজে লাগাতে পারে। বাংলাদেশ সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে দুই কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এ দিন 'লিভিং ইন দ্য লাইট- দ্য বাংলাদেশ সোলার হোম সিস্টেম স্টোরি' শীর্ষক একটি বই প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি।

 

প্রকাশিত বইয়ে বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশ ২০০৩ সালে ৫০ হাজার পরিবারের ওপর সৌরবিদ্যুতের পাইলটিংয়ের কাজ শুরু করে। পাইলটিংয়ের মাধ্যমে এই কর্মসূচি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল এবং গ্রামীণ জনসংখ্যার প্রায় ১৬ শতাংশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছিল।

 

বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মের্সি টেম্বন জানান, বাংলাদেশ তার উদ্ভাবনী উন্নয়ন পদ্ধতির জন্য পরিচিত।  সোলার পদ্ধতিতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের আওতাভুক্ত পরিবারের উন্নত স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং শিশুদের পড়ালেখার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। এই কর্মসূচির জন্য গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্ব আরও প্রসারিত হয়েছে।

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নেট-মিটার সৌর ছাদ স্থাপনের ওপর ট্যাক্স ব্রেকের মতো প্রচুর প্রণোদনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে গ্রিড অঞ্চল বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে পুরো দেশ বিদ্যুতায়িত হবে।

 

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এনার্জি বিশেষজ্ঞ ও প্রতিবেদনের সহ-লেখক অমিত জৈন বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পগুলো টেকসই বাজারচালিত পদ্ধতির প্রচার করেছে। যেখানে স্থানীয় উদ্যোক্তারা আইডিসিওএল থেকে অর্থায়নসহ পরিবেশসম্মত জ্বালানি সমাধান সরবরাহ করেছিল। ৫৮টি বেসরকারি সংস্থা ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের সোলার হোম সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপন করেছে।

 

যাযাদি/এসআই