শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তা জোরদার ডিএমপির থানাগুলোতে

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৪৩
আপডেট  : ১০ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৪৩

শনিবার (১০ এপ্রিল) ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) থানাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এই নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে সম্প্রতি।

তিনি বলেন, থানার আশপাশে ঘোরাফেরা করবে পুলিশের মোবাইল টিম। পূর্বের তুলনায় প্রতিটি থানায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও পুলিশের স্থাপনায় হামলার ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা শহরের বেশকিছু থানাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ডিএমপি। সেগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য জেলা শহরের মত ডিএমপিতে থানায় থানায় নিরাপত্তা চৌকি বসানো কিংবা ভারি অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, গত বুধবার বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের থানাসহ পুলিশের অন্যান্য স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করতে বলেন। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সিলেটের থানাগুলোয় বালুর বস্তা দিয়ে বাঙ্কার তৈরি করে মেশিনগান বসানো হয়। ঢাকার থানাগুলো তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ হলেও নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে।

ডিএমপি সূত্র জানায়, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার থানাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে। থানায় প্রতিটি মানুষকে ঢোকার আগে তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত ও তল্লাশি করা হচ্ছে।

এছাড়া থানায় পুলিশের উপস্থিতিও বাড়ানো হয়েছে। তবে সব থানায় নয়, অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিপূর্ণ থানাগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিমানবন্দর, বাড্ডা, বংশাল, চকবাজার, দারুস সালাম, গুলশান, হাতিরঝিল, যাত্রাবাড়ী, কলাবাগান, খিলগাঁও, লালবাগ, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, পল্টন, রমনা মডেল, নিউমার্কেট, শাহবাগ, সুত্রাপুর, ভাটারা, উত্তরখান, দক্ষিণখানসহ প্রায় ৩০টি থানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ রোববার হেফাজতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় হরতাল সমর্থকরা। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি অস্ত্র। ওই হামলাকারীদের মধ্যে ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোর। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত দুজনের একজন শিশু। আহতদের মধ্যেও কয়েকটি শিশু ছিল। হামলাকারীরা থানা কম্পাউন্ডের ভেতরে রাখা সাঁজোয়া গাড়িতে (এপিসি) আগুন ধরিয়ে দেয়।

একই সময়ে হামলাকারীরা থানার সরকারি দুটি পিকআপ ভ্যান ও ২০ টনের একটি রেকার পুড়িয়ে দেয়। থানার সামনে বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে রাখা দুটি লেগুনা, দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও ১০-১২টি মোটরসাইকেলেও আগুন দেয়া হয়। পরে থানা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করার চেষ্টা করে হামলাকারীরা।

যাযাদি/এসআই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে