শনিবার (১০ এপ্রিল) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের ৬৪ জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে তা বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির রোববার (১১ এপ্রিল) আহ্বান করা মানববন্ধন আপাতত স্থগিত করা হলো। কর্মসূচির পরবর্তী সময় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসিয়ে খাওয়ানো ও রমজানে ইফতার-সেহেরি বিক্রি করার দাবি জানান হোটেল মালিকরা। শনিবারের মধ্যে এ দাবি না মানলে রোববার দেশের ৬৪ জেলার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। কিন্তু করোনাভাইরাসে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তাদের পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধন কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মো. ওসমান গণি ও মহাসচিব ইমরান হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে আবারও করোনা থাবা মেরেছে। কঠিন সময় পার করছি। গত লকডাউনে সরকার প্রণোদনামূলক ব্যাংক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও পচনশীল খাবারের দোকান আখ্যা দিয়ে ব্যাংক কোনো ঋণ দেয়নি। ৩০ শতাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। অনেক মালিক সর্বস্বান্ত হয়ে প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিয়েছেন, মালিকদের গড়ে ৫০ শতাংশ লোকসান হয়েছে।
৮ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে নতুন নির্দেশনা দেয় সরকার। এতে দেশের সব দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়।
এমতাবস্থায়, শুধু পার্সেল বা অনলাইনে বিক্রয়ের পরিবর্তে হোটেল-রেস্তোরাঁয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো বসিয়ে খাওয়ানোর সুযোগ চেয়েছেন হোটেল মালিকরা। এছাড়া আসন্ন রমজানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতার ও সেহেরি বিক্রি করতে চান তারা। এ সময়ে সরকারি এজেন্সিগুলো থেকে বিমাতাসুলভ আচরণের পরিবর্তে ব্যবসাবান্ধব আচরণ প্রত্যাশা করে সংগঠনটি।
রেস্তোরাঁ মালিকরা বলেন, এ সেক্টরে ৩০ লাখ কর্মচারী কাজ করে এবং এ সেক্টরের সঙ্গে প্রায় দুই কোটি মানুষ বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। শনিবারের মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁর বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা চাইছি। অন্যথায় আগামী রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকাসহ ৬৪টি জেলা শহরের সব প্রেসক্লাবে একসঙ্গে আমাদের এই বাঁচার দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করা হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘোষিত কর্মসূচি বাতিল করেছে সংগঠনটি।
যাযাদি/এসআই