শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
​বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে বক্তারা

সাংবাদিকদের চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৪ মে ২০২১, ১৯:২১

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস‘পালন করা হয় যেখানে সাংবাদিক, অধিকারকর্মী ও সমাজের প্রতিনিধিরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে সাংবাদিকতার সক্রিয় পরিবেশ তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ভয়েস, আরটিকেল ১৯, ফোরাম ফর ফ্রডিম অফ এক্সপ্রশেন বাংলাদেশ (এফএক্সবি), ইন্টারনিউজ, পেন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ এবং রিপোর্টার সান ফ্রন্সিটিয়ার্স (আরএসএফ) যৌথভাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

ওয়েবিনারে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ এবং সভাপতিত্ব করেন আরটিকেল ১৯ এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল। এছাড়াও আরএসএফ প্রতিনিধি এবং এফইএক্সবির সাধারণ সম্পাদক সেলিম সামাদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, পেন ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. অরীন জামান, ইন্টারনিউজের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শামীম আরা শিউলি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রভাষক সাইমুম রেজা পিয়াস আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।

সভায় মূল আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন ভয়স’-এর প্রোগ্রাম অফিসার আফতাব খান শাওন।

মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, করোনা প্রতিবন্ধকতা, সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সাংবাদিকরা তাদের পেশাদারি দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, যদিও সরকার মুক্ত গণমাধ্যমের অস্তিত্ব দাবি করে কিন্তু মিডিয়া স্বাধীনতার জন্য সরকার এখনও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আইনি বিধানগুলোর সংস্কার করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং সাংবাদিকদের চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানান।

সেলিম সামাদ বলেন, যে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সমন্বয়হীনতা, কর্মপরিকল্পনায় অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রকট অভাব রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারকে সকল স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিতি করতে হবে এবং যারা সমালোচনা তাদের অভিযুক্ত না করে বিকল্প কণ্ঠকে সম্মান করার আহ্বান জানান। অন্যদিকে তিনি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে মতপ্রকাশরে স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

শামীম আরা শিউলি বলেন, সাংবাদিক পেশায় নারী সাংবাদিকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রতিকূলতা, প্রতিকূল কর্মপরিবেশ এবং যৌন হয়রানির ও লিঙ্গ বৈষম্যের মতো অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়। মহামারি চলাকালীন এই বাধাগুলো নতুন করে সমস্যা তৈরি করেছে এবং চ্যালেঞ্জ যুক্ত করেছে। নারী সাংবাদিকরা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে প্রথমে নিজেকে সংগঠিত করা জরুরি বলে মনে করেন। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গণমাধ্যমে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া কিংবা বেতন কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারগুলো নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। মিডিয়া আউটলেট মালিকদের অনুরোধ করেছেন বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার জন্য।

বক্তারা আরও বলেন, মাঠে সাংবাদিকরা করোনভাইরাসে বিশেষভাবে উন্মুক্ত এবং তাদের কর্মীদের করোনাভাইরাসের সংস্পর্শ থেকে রক্ষা করার জন্য মিডিয়াগুলো পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বক্তারা বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম এবং তথ্যের সত্যতা সাংবাদিকতার জন্য মূল বিষয় এবং সরকারের উচিত সাংবাদিকদের অধিকার এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধা সরবরাহ করা, যাতে তারা চাপ ও বাধা ছাড়াই তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারে। অন্যদের মধ্যে তুষার রায়, নুর হাসান মানিক, সিরাজুদ্দাহার খান, মাসুদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে