শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

​দেশে করোনার আরেকটি ঢেউয়ের আশঙ্কা!

যাযাদি ডেস্ক
  ১১ মে ২০২১, ২০:২৮

ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষ যেভাবে ভিড় জমিয়ে বাড়ি যাচ্ছে তাতে দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার বিকেলে জরুরি ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এসে এমন শঙ্কা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছিল, তা ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসছে। আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি, আগামীতে না আরও একটা ঢেউয়ের সম্মুখিন হই।’

‘করোনা মহামারি কবে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে আমরা জানি না। যতদিন পর্যন্ত বিদায় না নেয় ততদিন পর্যন্ত আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার ভয়াবহতা আপনারা দেখেছেন। এর থেকে বাঁচতে অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরে ১২ এপ্রিল ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ।

এতে বলা হয়, সব পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেলপথ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না।

এরপর দুই দফা বাড়িয়ে লকডাউন ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়।

গত ৫ মে নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগের মতোই আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে ৫ মের পর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। উল্লেখ্য, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল আগের মতোই বন্ধ থাকবে।

এই প্রজ্ঞাপনে ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

বাসসহ গণপরিবহন চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও থেমে নেই মানুষের ঈদযাত্রা। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া ফেরিঘাটে প্রতিদিনই দেখা যায় হাজার হাজার যাত্রীর ভিড়। একই অবস্থা মহাসড়কগুলোতেও।এতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ঈদের পরে তৃতীয় ঢেউ আসবে, তৃতীয় ঢেউ কমাতে কমাতে আবার কোরবানির ঈদ চলে আসবে, ঈদে আবার আমরা এভাবে বাড়িতে যাব। আবার সংক্রমণ বেড়ে যাবে, এভাবে করোনার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। সবাই যদি এমনভাবে চলাচল করতে থাকি তাহলে করোনা শেষ হবে না।’

একই আশঙ্কার কথা জানালেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, ‘অস্বাভাবিক ঈদকে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরের মধ্যে পালন করি। আমাদের জীবনে আরও অনেকগুলো ঈদ উপভোগ করার সুযোগ আসবে।’

‘দেশের প্রস্তুতি ও চিকিৎসা ব্যবস্থার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। উন্নত দেশগুলোও কারোনা রোগীর চাপ নিতে পারছে না। যার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।

ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানাও।

যাযাদি/এসআই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে