​পদ্মায় মাইক্রোবাস, ২ ঘণ্টা পর উদ্ধার, চালক নিখোঁজ

দৌলতদিয়ার ৫ নং ফেরিঘাটে মঙ্গলবার ঝড়ের আঘাতে পন্টুনের তার ছিঁড়ে সকাল সাড়ে ১১টায় পদ্মা নদীতে একটি মাইক্রোবাস ডুবে যায়। টানা ২ ঘণ্টা উদ্ধার তৎপরতা শেষে দুপুর দেড়টার দিকে মাইক্রোটিকে উপরে তুলতে সক্ষম হয় উদ্ধারকারী দল। তবে মাইক্রোর চালককে গাড়ির মধ্যে পাওয়া যায়নি। তাকে উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিদল উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। সাদা রঙের নোয়া মাইক্রোবাসটি (ঢাকা মেট্রো-চ-২৬০৮) পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে নদী পার হতে পন্টুনে অপেক্ষায় ছিল।

এছাড়া মাইক্রোটিতে অন্য কোনো যাত্রী ছিল কি না তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেননি।

রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, নদীতে হঠাৎ প্রচণ্ড  ঝড়ো-বাতাস শুরু হওয়ায় সৃষ্ট ঢেউয়ের আঘাতে পন্টুনের তার ছিঁড়ে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসটি প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে নদীতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যে রাজবাড়ী, গোয়ালন্দ ও পাটুরিয়া হতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও ডুবুরিদল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দুপুর দেড়টার দিকে আমরা মাইক্রোটিকে উপরে তুলতে সক্ষম হই। এ সময় মাইক্রোর পেছনের ডালা ভাঙা ছিল। ধারণা ছিল ভেতরে কেউ থাকলেও হয়তো ভাঙা অংশ দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্র জাহিদ হাসান জানান, তিনি পাটুরিয়া ঘাট হতে শাপলা-শালুক ফেরিযোগে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে আসছিলেন। ঘাটের কাছাকাছি এলে তাদের ফেরিটি ঝড়ের কবলে পড়ে। চালক দক্ষতার সঙ্গে ফেরিটি ৫নং ঘাটে ভেড়াতে সক্ষম হন। এ সময় আমাদের চোখের সামনেই পন্টুনের তার ছিঁড়ে গেলে পন্টুনের ওপর থাকা মাইক্রোবাসটি প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়। ডুবে যাওয়ার আগ মুহূর্তে মাইক্রোর চালক সাহায্যের জন্য হাত নাড়লেও তাকে সাহায্য করার মতো কোনো অবস্থা কারো ছিল না। মাইক্রোটিতে আর কোনো যাত্রী ছিল কি না তা আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।

ঘটনাস্থলে স্থানীয় প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ এবং থানা ও নৌপুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

খবর পেয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজিজুল হক খান মামুন, এসিল্যান্ড রফিকুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মুন্নাফ হোসেনসহ বিআইডব্লিউটিসি এবং বিআইডব্লিউটিএ'র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

যাযাদি/ এস