শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

​ নিজেদের প্লেনে নিউইয়র্কে যাওয়ার কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৪২

দুইটি কারণে নিজেদের জাতীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নিউ ইর্য়ক এসেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউ ইয়র্ক সময় শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এখানকার একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত ভার্চুয়াল নাগরিক সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আমাদের ড্রিম লাইনার সেটা নিয়েই বাংলাদেশ থেকে এসেছি। কেন এসেছি? দুটি কারণ। একটা হচ্ছে এই করোনার সময় আমি যদি অন্য এয়ারলাইন্সে টিকেট করি। তাদেরকে টাকা দিতে হয়। আর আপনারা জানেন আন্তর্জাতিক রুটগুলো করোনার কারণে বন্ধ ছিল। আমাদের বিমানগুলো বসে ছিল। একটা বিমান বসে থাকলে তার মেইনট্যান্সের যে খরচ প্রতিদিন সেটাও কিন্তু একটা বিরাট টাকা খরচ হয়। ’

দ্বিতীয় কারণ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর আমরা একটা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, আলোচনা চলছে, আমরা আইনও করেছি। আইকাও (ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন) এর যে সমস্ত নির্দেশনা সেগুলোও আমরা মেনে চলছি। আমাদের লক্ষ্য নিউ ইয়র্কে আমাদের নিজেদের বিমান আসবে। সেটাও আমরা আনতে চাই। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সেজন্য বললাম আমরা অন্য এয়ারলাইন্সকে টাকা না দিয়ে আমরা আমাদের বিমান নিয়ে আসবো। বিমান তো দেশেও বসে আছে। কাজেই আমাদের সঙ্গে আসলো আমাদের ঘরের টাকা ঘরেই থাকলো, বিমানেই পেল। তাছাড়া জেএফকে (জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর) ল্যান্ডিং করার প্র্যাকটিসটাও হয়ে গেল। ভবিষ্যতেও আসবো কাজেই সেটার প্র্যাকটিসটা বনি করে গেলাম। ইনশাল্লাহ আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি করোনা না হলে হয়তো আমরা আরও আগে করতে পারতাম। আমরা সেটা নিয়ে এসেছি। ’

অর্থ-সম্পদে লালায়িত নন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাভাতে ঘর থেকে আসি নাই। যে একটা দেখলেই লাফ দিয়ে পড়বো।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওরা একটা কথা ভুলে যায় যে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে। আমরা দেশের জন্য কাজ করি, দেশের কল্যাণের জন্য। আর ক্ষমতাটা আমাদের দেশ সেবা করা, মানুষের সেবা করা। আমরা অর্থ-সম্পদে লালায়িত না। ’

তিনি বলেন, ‘আব্বা জেলে থাকলেও আমাদের দাদা, দাদি আমাদের খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনার কোনদিন অসুবিধা হতে দেন নাই। কাজেই আমরা সেভাবেই এসেছি। হাভাতে ঘর থেকে আসি নাই। যে একটা দেখলেই লাফ দিয়ে পড়বো। যেটা খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও হয়েছে জিয়ার ক্ষেত্রেও হয়েছে, তাদের ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রেও হয়েছে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ক্ষমতাটাকে ভোগের জায়গা বানিয়েছে। ক্ষমতাকে তারা নিজেদের ভাগ্য গড়ার জায়গা বানিয়েছে। আর আমাদের কাছে ক্ষমতা হচ্ছে মানুষের ভাগ্য গড়া, বাঙালির ভাগ্য গড়া। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়া। আমরা সে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়ে দিচ্ছি। প্রত্যেকে সুন্দর জীবন পাবে, উন্নত জীবন পাবে। ’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘বাবা আমাদের শিখিয়েছেন সিম্পল লিভিং, হাই থিংকিং। সব সময় উচ্চ চিন্তা করবে, সাদাসিদে জীবন যাপন করবে। আমরা সেই আদর্শ মেনেই চলি। কিন্তু যাদের চুরি করার অভ্যেস তারা তো সবাইকে চোরই ভাববে। ’

বিদেশে দেশে ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রচেষ্টাকারীরা দেশের শত্রু মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ নিয়ে যারা বিদেশে ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়, এরা আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এরা বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বাস করে না। এরা বাংলাদেশের সর্বনাশে বিশ্বাস করে। কাজেই এরা দেশের বা স্বাধীনতার পক্ষের না। বরং দেশের এবং মানুষের শত্রু এরা।’ গণমাধ্যমগুলোকে দায়িত্বশীল ও সত্য নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পত্রিকারও দায়িত্ব আছে।’

যাযাদি/এসএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে