বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইল-৭ আসনে নৌকার নিরঙ্কুশ জয়

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল
  ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৫৯
আপডেট  : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ২১:০৫

টাঙ্গাইল-৭(মির্জাপুর) সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ এক লাখ ৪০ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৭৩ ভোট। উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী রোববার(১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে ওই ফলাফল ঘোষণা করেন।

এরআগে রোবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে একটানা ভোটগ্রহন করা হয়। ভোটগ্রহনকালে দুপুরের দিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির কেন্দ্র থেকে তার লাঙল প্রতীকের এজেণ্টদের বের করে দেওয়া এবং কোন কোন কেন্দ্রে এজেণ্টদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়া সকাল থেকে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলেও কোথাও কোন বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী হাতুড়ি প্রতীকে এক হাজার ৪৫ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রূপা রায় চৌধুরী ডাব প্রতীকে ৪৩৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু মোটরগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৪৩৬ ভোট।

তিন লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯জন ভোটারের মধ্যে এক লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন ভোটার উপজেলার ১২১টি ভোট কেন্দ্রের ৭৫৬টি কক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

এ আসনে মোট ১২১টি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতে কেন্দ্রে পুলিশ এবং আনসার সদস্য মিলে ১৮-১৯ জন দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে র‌্যাব এবং ডিবির টিমও কাজ করে। এছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চার প্লাটুন বিজিবি মাঠে কাজ করেছে।

উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী ফলাফল ঘোষণা করে জানান, শতভাগ ইভিএমের মাধ্যমে এ আসনে ভোটগ্রহন করা হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পেরে তারা আনন্দিত। এ সময় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। পরে দুইজন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে