ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। যানজট সৃষ্টির ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ, কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা। সোমবার (১৭ জানুয়ারী) বিকেলে শ্রমিকরা তাদের পাওনার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে।
জানা যায়, কাঁচপুর বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় মার্কারী নীট ও্যায়ার প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি গার্মেন্টের শ্রমিকদের গত তিন মাস ধরে বেতন বকেয়া রয়েছে। মালিকপক্ষ বিভিন্ন সময়ে তাদের পাওনা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও বেতন পরিশোধ করছে না। বেতন পরিশোধ নিয়ে মালিক পক্ষ তালবাহানা শুরু করে। গতকাল সোমবার তাদের পাওনা পরিশোধের শেষ দিন ছিল। গতকাল শ্রমিকরা গার্মেন্টে এসে জানতে পারেন মালিকপক্ষ বেতন পরিশোধ না করার জন্য তালবাহানা শুরু করেন। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গার্মেন্টের অভ্যান্তরে প্রায় ৪ শতাধিক শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু করেন।
এক পর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে গার্মেন্ট থেকে বের হয়ে মহাসড়কের অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। শ্রমিক বিক্ষোভের ফলে মহাড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের আটকে পড়ে যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে পড়েন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, গার্মেন্টের মালিকপক্ষ তিন মাস ধরে তাদের বেতন পরিশোধ করছে না। ফলে আমাদের জিবন যাপনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বেতন না পাওয়ায় টাকার অভাবে বাসা ভাড়া, দোকান বাকি, ছেলে মেয়েদের স্কুলের ভর্তি করতে পারছেন না শ্রমিকরা।
মার্কারী নীট ও্যায়ার প্রাইভেট লিমিটেডের শ্রমিক আকলিমা আক্তার বলেন, মালিক পক্ষ আমাদের তিন মাসের বেতন বকেয়া রেখেছেন। ফলে আমাদের জিবন চলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের বাসা ভাড়ার জন্য বাড়ির মালিকরা ভাড়া পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছেন।
শ্রমিক আমজাদ হোসেন বলেন, বেতন বকেয়া থাকার কারনে আমাদের গার্মেন্টে আসার যে ভাড়া লাগে সেটাও অন্যের কাছ থেকে ধার করে নিয়ে আসতে হয়। এখন আর কেউ ধার ও দোকান বাকি দিতে চান না।
মার্কারী নীট ও্যায়ার প্রাইভেট লিমিটেড ম্যানেজার (হিসাব) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মালিক পক্ষের সমস্যা থাকার কারনে আজ বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। তবে দু’একদিনের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হবে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. সাজ্জাত করিম খাঁন বলেন, অল্প সময়ের জন্য শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছিল। মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সংঙ্গে কথা বলে আগামী দুদিনের মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
যাযাদি/ এস