করোনা রোগীদের ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:১৩ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৫৯

যাযাদি ডেস্ক

 

 

বাংলাদেশে বর্তমানে করোনা রোগীদের ২০ শতাংশই ওমিকন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। চলতি মাসে ওমিক্রনের সংক্রমণ গুণিতক হারে বাড়ার আশঙ্কা করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

 

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের সুপারভাইজার অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে উল্লিখিত তথ্য জানিয়েছেন।

 

ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর জেনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার উদ্দেশ্য—জেনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেনোমের সঙ্গে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশে কোভিড-১৯ জেনোম ডাটাবেজ তৈরি করা। বিএসএমএমইউতে চলমান গবেষণার সাড়ে ছয় মাসের ফলাফলের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে হালনাগাদ ফল জানাতে পারব।’

 

২০২১ সালের ২৯ জুন থেকে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী করোনা রোগীদের ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণায় ৭৬৯ জন করোনা রোগীর সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়। এ গবেষণায় ৯০ বছর পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সী রোগীর সংখ্যা বেশি।

 

গবেষণায় আরও জানা গেছে, করোনা রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি আছে, যেমন: ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস; তাদের মৃত্যুর হার বেশি। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব বয়সের রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে সে ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি বেশি দেখা গেছে।

 

করোনাভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং বিশ্লেষণ গবেষণায় ২০২১ সালের জুলাইয়ে দেখা যায়, মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশই হয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে। ১ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে সাউথ আফ্রিকান বেটা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা এবং ১ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে মরিসাস ভ্যারিয়েন্ট অথবা নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা।

 

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগৃহীত স্যাম্পলের ২০ শতাংশ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮০ শতাংশ ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। পরবর্তী মাসে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট গুণিতক হারে বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

ডেলটার চেয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জেনেটিক কোডে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি ডিলিশন মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার বেশিরভাগ ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিন। এই স্পাইক প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে বেশিরভাগ ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়।

 

যাযাদি/এসআই