ইভিএমে ভোটের সিদ্ধান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর : সিইসি

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২২, ১৯:৩৯

অনলাইন ডেস্ক

 

 

 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেনর, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট করব, নাকি ১০০ আসনে করব, নাকি মোটেই করব না- এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সব বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি হবে না

 

আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সময় তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলো কারিগরি টিম পাঠিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাই-বাছাই করতে পারবে

 

 সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘একজন টেকটিক্যাল ব্যক্তি পারবেন মেশিন নিয়ে মূল্যায়ন করতে আমরা সেই দৃষ্টিকোণ থেকে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের (টেকনিক্যাল পারসন) ডেকেছি রাজনৈতিক দলগুলোকেও আমরা অনুরোধ করবো তাদের যে কারিগরি টিম আছে কিংবা যদি থাকে তাদের যাচাই করার জন্য

 

ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তির ব্যাপারে সিইসি বলেন, ‘বিষয়টা শতভাগ আপেক্ষিক আমরা যেটা বলতে চাচ্ছি, আমরা কিন্তু কারও মতামতকে উপেক্ষা করিনি বিরোধী দল থেকে যে মতামত এসেছে- আমরা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেইনি

 

কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো বৈঠক করেছি আজও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বসেছি যারা প্রযুক্তিবিদ তাদের সঙ্গে বসেছি এই মেশিনের (ইভিএম) ব্যাপারে উনাদের বক্তব্যের পরে কোনো কিছু বলতে চাচ্ছি না আমি শুধু বলতে চাচ্ছি এই মেশিনের বিষয়ে আরও কয়েকটা মিটিং করবো রাজনৈতিক দলগুলোকেও ডাকা হবে

 

সিএইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে প্রযুক্তিবিদরা বলেছেন প্রভাবিত করার সুযোগ নেই আমার কিন্তু আস্থা রাখতে হবে ওইসব মানুষের ওপর, যারা এই জিনিসগুলো বোঝেন, যারা প্রোডাক্টগুলো তৈরি করেছেন তাদের ওপর প্রযুক্তিবিদরা আশ্বস্ত হয়েছেন

 

তিনি বলেন, ‘আমরা আরও কয়েকটি বড় বৈঠক করব রাজনৈতিক দল যেহেতু বাইরে মাঠে বলছেন এটা মন্দ মেশিন, ভালো মেশিন না আমরা লিখিতভাবে জানতে চাইবো আপনারা কী কী সমস্যা পাচ্ছেন? আমাদের লিখিতভাবে অবগত করুন আমরা যেন সিস্টেমেটিক্যালি অ্যাড্রেস করার সুযোগ পাই আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করবো আমাদের হয়তো লিমিটেশন আছে, কিন্তু চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না যদি সবার আস্থা অর্জন করতে পারি

 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষাবিদ . মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম কায়কোবাদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মতিন সাদ আবদুল্লাহ, . মো. মাহফুজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) পরিচালক মেজর জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন, সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম প্রমুখ

 

যাযাদি/এস