শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ফিরতে হলো খালি হাতে

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ জুলাই ২০২২, ১৪:৩০
ছবি: সংগৃহীত

‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহভরা কোলে তব/ মা গো… বলো কবে শীতল হব’- শিল্পী হেমন্ত কুমারের গানের এই দুটো লাইনই বলে দেয় প্রিয়জনের কাছে পৌঁছানোর আকুতি। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তাইতো নীড়ে ফিরতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন রাজধানীর কর্মব্যস্ত মানুষরা। তবে সে আনন্দের পথে এক রাশ মন খারাপের বাধা হয়ে আসে যাতায়াতের টিকিট। বিশেষ করে নিরাপদ বাহন হিসেবে খ্যাত ট্রেনে টিকিট পাওয়া হয়ে উঠে সোনার হরিণ পাওয়ার মতো।

একটি টিকিটের জন্য করতে হয় নানা লড়াই। পোহাতে হয় দীর্ঘ ভোগান্তি। তারপরও সবার ভাগ্যে জোটে না টিকিট নামের কাঙ্ক্ষিত সোনার হরিণটি। এবারও তার বত্যয় ঘটেনি। ঈদ যাত্রার অগ্রিম টিকিটের প্রথম দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে অনেককে।

তাদেরই একজন রাশেদুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটে। দুটি টিকিকের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাত ১১টায় দাঁড়িয়েছিলেন কাউন্টারে। দীর্ঘ সাড়ে ১১ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও তিনি পেলেন না টিকিট। রাশেদুল বলেন, ‘রাত জেগে অনেক কষ্ট করে অপেক্ষা করেও টিকিট পাইনি। আমার সামনে যখন ৩ জন ছিল তখনই মাইকে জানিয়ে দেওয়া হলো টিকিট শেষ হয়ে গেছে। কেমন লাগে বলেন?’

রাশেদুলের মতো আরেকজন জামিল চৌধুরী। তিনি এসেছিলেন নীলফামারীর টিকিট কাটার জন্য। ভোর ৪টায় এসে দাঁড়িয়েছিলেন কাউন্টারে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে বাসে যাতায়াত অনেক ভোগান্তির। আর ঈদের শেষ সময়ে ট্রেনেও যাত্রীদের অনেক চাপ থাকে। তাই বউ-বাচ্চাকে আগে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য টিকিট কাটতে এসেছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরও টিকিট পেলাম না। কাল এসে আবার চেষ্টা করব। যদি টিকিট না পাই তাহলে কী আর করা বাসে পাঠাতে হবে।’

রাশেদুল ও জামিলের মতো আরও অনেকেই দীর্ঘ ৮-১২ ঘণ্টা অপেক্ষা করে টিকিট না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে