ছোট ভাইয়ের জানাজার সালাম ফেরানোর পরই মিলল বড় ভাইয়ের লাশ

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:০৩

যাযাদি ডেস্ক
ফাইল ছবি

বলেশ্বর নদে নৌকাডুবির ঘটনার ছয় দিন পর মেলে ছোট ভাই বাইজিদের লাশ। তার জানাজার সালাম ফেরানোর পরই খবর আসে বড় ভাই ইউসুফেরও লাশ পাওয়া গেছে।

একসঙ্গে নিখোঁজ হয়ে নৌকা ডুবে তাদের মৃত্যু হয়। এর ছয় দিন পর ছোট ভাইয়ের লাশ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মেলে বড় ভাইয়ের লাশ। পর পর দুই ভাইয়ের মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছাযা নেমে আসে।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় পদ্মা গ্রামের আমিন বেপারীর ছেলে বাইজিদের (১৭) জানাজা হয়। তাদের বাড়ির সামনেই মাঠে জানাজা পড়ানো হয়। ঠিক সালাম ফেরানোর পর পরেই খবর আসে ইউসুফ বেপারীর (২৩) লাশ বাড়ির পাশেই বলেশ্বর নদের চরে পাওয়া গেছে। মুসুল্লিরা তাৎখনিক বাইজিদের লাশ দাফন না দিয়েই চরে গিয়ে ইউসুফের লাশ দেখতে পান।

এর আগে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে সুন্দরবন সংলগ্ন পিদিয়া এলাকায় ভাসমান অবস্থায় বাইজিদ বেপারীর (১৭) লাশ উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে চার দিনের বাজার সদাই নিয়ে ইউসুফ ও বাইজিদ সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদে মাছ ধরার জন্য ছোট একটি নৌকা নিয়ে রওনা দেন। পরদিন বুধবার (০৪ জানুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে বাইজিদ তার মায়ের কাছে ফোন দিয়ে জানান তাদের নৌকা ডুবে গেছে। তারা দুইজন একটি ককশিটের ওপর ভেসে থেকে সাহায্য চাচ্ছিলেন। তারপর থেকেই তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তখন থেকে প্রতিদিনই পরিবারের সদস্যরা নদীতে অনুসন্ধান চালাতে থাকেন।

ফুফাতো ভাই বেলাল মাঝি বলেন, নিখোঁজের দিন থেকেই প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নদীতে অনুসন্ধান করেছি। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ছোট ভাই বাইজিদের লাশ সুন্দরবন সংলগ্ন পিদিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে আজ বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে বলেশ্বর নদের চরে ইউসুফের লাশ পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, বাইজিদের শরীর পচে যাওয়ার কারণে দাফন শেষ করা হয়েছে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউসুফের জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, দুই চাচাতো ভাইয়ের লাশ পাওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

যাযাদি/ এস