‘সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে’

প্রকাশ | ০৫ মে ২০২৫, ১৭:১৬

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। তবে নির্বাচনের আগে সংস্কার কাজের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে বলে মন্তব্য করছেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। 

সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে অতিথি হয়ে এসেছিলেন মিলার। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সমর্থন করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নির্বাচনে সহায়তাও দিতে আগ্রহী ইইউ। তবে নির্বাচন কবে হবে তা ঠিক করবে বাংলাদেশ সরকার। নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। আমরা মনে করি, সংস্কার বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত সময় দরকার এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই। সুতরাং এক্ষেত্রে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ থাকা দরকার।

রাখাইনে মানবিক করিডর নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাইকেল মিলার বলেন, উভয় পাশেই ভুক্তভোগীদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। সবাই যেন সমানভাবে ত্রাণ সহায়তা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘের রিপোর্টকে সমর্থন করি। তাদের রিপোর্ট অত্যন্ত পরিষ্কার। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে— বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা। এখানে দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। আর দায়বদ্ধতার প্রক্রিয়া হতে হবে অত্যন্ত স্বচ্ছ।

মাইকেল মিলার বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কার এখন বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।  রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে বলে আমরা আশা করি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইইউতে পাচার হওয়া অর্থ যদি বর্তমান সরকার ফেরত আনতে চায়, তবে এ নিয়ে রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যথাযথ তথ‍্য–উপাত্ত নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

বাংলাদেশ ও ইইউ’র মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি হবে মৌলিক অধিকার ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার জীবদ্দশায় ইউরোপের প্রায় অর্ধেক দেশ কর্তৃত্ববাদ থেকে গণতন্ত্রের পথে এসেছে এবং এই কাজটি বাংলাদেশ এখন করছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।