প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

স্টারলিংকের ইন্টারনেটে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে না

প্রকাশ | ২০ মে ২০২৫, ১৬:১৯ | আপডেট: ২০ মে ২০২৫, ২১:৩৯

কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, বিশেষ প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত

স্টারলিংকের ইন্টারনেটের কারণে জাতীয় স্বার্থ বিঘ্নিত হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আমরা দুটি নিরাপত্তার বিষয় রেখেছি। একটি হচ্ছে স্টারলিংককে লোকাল গেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ তাদের স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি করতে হবে এবং সেই গ্রাউন্ড স্টেশনের মাধ্যমে গেটওয়ে হয়ে ইন্টারনেট যাবে। 

আমরা বলেছি, তারা চাইলে বিকল্প হিসেবে বিদেশি গেটওয়ে রাখতে পারবে, কিন্তু অ্যাকটিভ ডিভাইস মনিটর করার জন্য, সেখান থেকে রাজস্ব আয়ের জন্য এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের যারা লাইসেন্স গেটওয়ে আছে তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য লোকাল গেটওয়ে ব্যবহার করতে পারবে। 

সেখানে এলআইসি বসাতে হবে অর্থাৎ আমাদের আইনে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যে ইন্টারসেপ্টের বিধান আছে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা থেকে সেই কমপ্লায়েন্স মানতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি অননুমোদিত ডিভাইস যাতে আমাদের সীমান্তের ভেতর না প্রবেশ করতে পারে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়, সেজন্য আমরা বলেছি ডিভাইসগুলোর জন্য এনওসি নিতে হবে। 

যেহেতু হাজার হাজার ডিভাইস আলাদা করে এনওসি দিতে গেলে প্রক্রিয়াগত জটিলতা তৈরি হবে, এজন্য গ্রুপ অব ডিভাইসকে একই এনওসি’র আওতায় ব্যাচ করে আনা যাবে। তবে আমরা আজ চালু করছি পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিকভাবে। 

এটার জন্য তারা আমাদের কাছে আবেদন করেছে। এর জন্য তাদের ৯০ দিনের একটি সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। গ্রাউন্ড স্টেশন করতে কিছুটা সময় লাগে। এরই মধ্যে তাদের ১০ দিন সময় পেরিয়ে গেছে, আর ৮০ দিন আছে।

 এই সময়ে তাদের লোকাল গেটওয়ের এবং এলআইসি’র যে বাধ্যবাধকতা সেটি পালন করতে হবে। এরই মধ্যে এনটিএমসি’র সঙ্গে তাদের একটি সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।