মন্ত্রণালয় ফাঁকা: কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়
প্রকাশ | ২৭ মে ২০২৫, ১২:২১ | আপডেট: ২৭ মে ২০২৫, ১২:২৬

সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে জারি করা অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন কর্মচারীরা।
সকল মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী মাঠে কোন কার্যক্রম হচ্ছে না।
তারা জনপ্রশাসন ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অফিস ঘেরাও করেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ নিয়ে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ না নেওয়া অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।
‘অবৈধ কালো আইন মানা হবে না’—বলে স্লোগান দিচ্ছেন কর্মচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মচারীরা বাদামতলায় একত্র হয়ে বসে বিক্ষোভ করছেন। আবার কেউ কেউ দাঁড়িয়েও আছেন।
হ্যান্ড মাইকেও স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। তারা বলছেন, ‘কালো আইন, মানি না, মানি না’।
এ সময় অনেকের হাতে বিভিন্ন ধরনে প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সচিবালয়ের গেইটগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদেরও সচিবালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই গত রোববার রাতে ‘সরকারি কর্মচারী আইন’ সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।
এর ফলে চার ধরনের অপরাধের জন্য সরকারি কর্মচারীদের শুধু নোটিশ দিয়েই চাকরিচ্যুত করা যাবে।
কর্মচারীরা এর প্রতিবাদে গত শনিবার থেকে সচিবালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন।
এদিকে, সচিবালয়ের গেটে সোয়াত সদস্যদের নিয়োজিত করা হয়েছে। সচিবালয়ের ভেতরে রাখা হয়েছে বিজিবি সদস্যদের।
এ ছাড়া, নিয়মিত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়ন, পুলিশ, আনসার সদস্যদের বাড়তি উপস্থিতি দেখা গেছে। সচিবালয়ের বাইরে দুটি এপিসি রাখা হয়েছে।
অপরদিকে, সচিবালয়ের ২ নম্বর গেটের বিপরীতে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের দেয়ালঘেঁষে ‘জুলাই মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন সচিবালয়-এনবিৎআরসহ বাংলাদেশে থাকা ‘দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদের আমলাদের’ বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিবাদ উৎখাতে যাত্রা’—শীর্ষক অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
এই কর্মসূচিতে সব মিলিয়ে ১০ জন অংশ নিয়েছেন। একটা রিকশায় দুটি মাইক লাগিয়ে তারা বক্তৃতা করছেন