এপ্রিল মাস নির্বাচনের জন্য ‘ফ্যান্টাস্টিক’ টাইম: প্রেস সচিব
প্রকাশ | ০৯ জুন ২০২৫, ১৮:৩৫ | আপডেট: ০৯ জুন ২০২৫, ১৮:৪৯

আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জোর আলোচনার ঝড়। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রোববার (৮ জুন) দিবাগত রাতে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি জানিয়েছেন, “সব দিক বিবেচনা করেই এপ্রিলের প্রথমার্ধকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।”
তিনি জানান, নির্বাচনের সময় নির্ধারণে তিনটি মূল বিবেচ্য বিষয়কে সামনে রেখেছেন প্রধান উপদেষ্টা—সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন।
প্রেস সচিব বলেন, “সরকারি ব্যবস্থায় আমূল সংস্কার আনার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ১২ থেকে ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। এসব কমিশনের রিপোর্ট আসতে শুরু করেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে।”
দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, “জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশু পর্যন্ত এই সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনায় ‘ডিউ প্রসেস’ এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় প্রয়োজন।”
তৃতীয় কারণ হিসেবে প্রেস সচিব বলেন, “একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতির প্রয়োজন। প্রতিটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েই এপ্রিলের প্রথমার্ধকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য উপযুক্ত সময় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।”
আবহাওয়ার উদ্বেগ উড়িয়ে দিলেন প্রেস সচিব
এপ্রিল মাসে প্রচণ্ড গরম ও কালবৈশাখীর আশঙ্কায় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সেটি খণ্ডন করেন শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, “আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, এপ্রিলের প্রথম দশ দিন তাপমাত্রা তুলনামূলক সহনীয় থাকে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে গরম বাড়লেও প্রথমার্ধে তা থাকে নিয়ন্ত্রণে। তাছাড়া কালবৈশাখীর প্রবণতাও থাকে মাসের দ্বিতীয় ভাগে বেশি, অর্থাৎ বৈশাখের শুরুতে। প্রথম সপ্তাহে এটি খুবই সীমিত এবং লোকালাইজড হয়।”
‘এপ্রিলের প্রথমার্ধটাই আদর্শ সময়’
প্রেস সচিব বলেন, “সকল দিক বিবেচনায় এপ্রিলের প্রথমার্ধই নির্বাচন আয়োজনের জন্য ফ্যান্টাস্টিক সময়। এই সময়েই দেশের জন্য একটি নতুন যাত্রার সূচনা হোক—এটাই প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশা।”