‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি ঘোষণা
আন্দোলনরতদের সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২৫, ১৭:৩৮ | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫, ১৭:৫৩

দাবি মানা না হলে আগামী ২৮ জুন থেকে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিতে যাবে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের অপসারণে দাবিতে আন্দোলনরতরা জানিয়েছেন, ২৭ জুনের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে ২৮ জুন ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
আজ বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তারা।
এর আগে, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করলে আগামী শনিবার (২৮ জুন) থেকে দেশের কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন করা হবে বলে জানায় সংস্থাটির সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
চেয়ারম্যানকে আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী আমলা আখ্যা এবং দেশ ও রাজস্ব ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীলের চেষ্টায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ তুলে নতুন এ কর্মসূচির ডাক দেয় ঐক্য পরিষদ।
গত সোমবার (২৩ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা।
এর আগে ২৩ জুন এনবিআরের ঢাকায় সব দপ্তরের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজস্ব ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলমবিরতি কর্মসূচি ছিল।
অনেকেই কাফনের কাপড় পরে এ কর্মসূচি পালন করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে এনবিআর ভবনের নিচতলায় ঐক্য পরিষদের নেতারা হ্যান্ড মাইকে কর্মসূচি পালনের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়।
আর এ বাধাকে বেআইনি উল্লেখ করে ঐক্য পরিষদের নেতারা প্রয়োজনে তাদের গণগ্রেপ্তারের আহ্বান জানান পুলিশকে।
চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবির মধ্যে সম্প্রতি এনবিআরের আয়কর অনুবিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে বিধিবহির্ভূতভাবে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়। একই সঙ্গে দেশের সীমান্তবর্তী জায়গায় বদলি করতে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন কর্মকর্তারা।
এ আদেশকে প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক দাবি করে তা প্রত্যাহার করা দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
গত মে মাসে এনবিআর দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারির পর তা বাতিলের দাবিতে কলমবিরতিসহ নানা কর্মসূচিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তাদের আন্দোলনের মধ্যে সরকার পিছু হটে। বলা হয়, অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের আগে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অটল থাকেন এবং সংস্থার কার্যালয়ে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন।
পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় অফিসে ফেরেন এনবিআর চেয়ারম্যান।