শিক্ষকদের এমপিও নিয়ে টালবাহানা

বিশ্বাস করি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর এ মাসের মধ্যেই সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিও জটিলতার অবসান ঘটিয়ে আগামী মাসেই সব শিক্ষকের এমপিও সুনিশ্চিত করবেন।

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২২, ০০:০০ | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২২, ১০:০২

সোলায়মান মোহাম্মদ

শিক্ষকদের জন্য কিছু স্মৃতি সত্যিই আনন্দের, গর্বের। যা পুরো শিক্ষক জাতির জন্যই গর্ব বয়ে আনে। ২০১৯ সালে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তার শিক্ষককে পা ছুঁয়ে সালাম করেন। ২০২১ সালের আরও একটি চিত্র দেখে আমরা আবেগাপস্নুত হই, গর্বিত হই। শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন তার স্যারকে দেখে মঞ্চ থেকে নেমে এসে পায়ে ছুঁয়ে সালাম করেন এবং মঞ্চে তার পাশের চেয়ারে বসান। কাজী কাদের নেওয়াজের 'শিক্ষকের মর্যাদা' কবিতায় বাদশা আলমগীরের শিক্ষকের প্রতি সম্মান নিবেদনের সেই দৃশ্যপট চোখের সামনে যেন জ্বলজ্বল করে ভাসতে থাকে। আহা! কি সম্মান! শিক্ষকের সম্মান। বর্তমান সরকারের বড় বড় কর্তাদের শিক্ষকদের প্রতি এমন সম্মানবোধ দেখে সত্যিই গর্বে বুক উঁচু হয়ে উঠে। শিক্ষকদের প্রতি তাদের এ সম্মান প্রদর্শনের চিত্র দেখে নিশ্চয়ই অনেক শিক্ষক আনন্দে কেঁদে দিয়েছেন। তবে পরক্ষণেই হয়তো ভীষণ কষ্টে নিজেকে সংবরণ করেছেন। মনের অজান্তেই ফেলেছেন এক দীর্ঘশ্বাস। কেন এই দীর্ঘশ্বাস? চলুন সে বিষয়ে না হয় একটু আলোচনা করে নেওয়া যাক। যারা দীর্ঘদিন ধরে মহৎ এ পেশায় আছেন এবং চাকরি সময় শেষে পেনশনে গিয়েছেন তাদের ঠিক কী পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তা অন্য আরেক দিন তুলে ধরার চেষ্টা করব। আজকে শুধু এনটিআরসিএ থেকে সদ্য সুপারিশপ্রাপ্ত ৩৮ হাজার শিক্ষকের সঙ্গে যা ঘটছে তার সামান্য তুলে ধরতেই কি-বোর্ডে হাত চালাচ্ছি। গত এক বছর আগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নিয়োগের জন্য তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ফলে সারাদেশ থেকে প্রায় ৯৪ লাখ নিবন্ধনধারী শিক্ষক আবেদন করেন। ফল প্রকাশ হয়। মাত্র ৩৮ হাজার শিক্ষক মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হোন। তারপর দীর্ঘ এক বছর এ সমস্ত শিক্ষকদের সঙ্গে চলে প্রহসন। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ভেরিফিকেশন কিছুদিন চলার পর শর্তসাপেক্ষে তাদের সুপারিশপত্র দেয়া হয়। যদিও শিক্ষকরা ভেরিফিকেশনের বিষয়টি আনন্দের সঙ্গেই গ্রহণ করেছেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঘাটতির কথা মাথায় রেখেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর শিক্ষকদের নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। পাঠক বন্ধুরা হয়তো ভাবছেন লেটা চুকে গেল। যেহেতু সুপারিশপত্র দিয়েছেন। যারা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন- তারাও আনন্দে আত্মহারা এই ভেবে যে অবশেষে চাকরি নামের সোনার হরিণ পেয়েছেন। কিন্তু কে জানতো যে প্রহসন মাত্র শুরু হয়েছে। সদ্য সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যদি ফুটবলের সঙ্গে তুলনা করা হয় তবে খুব বেশি ভুল হবে না মনে হয়। ভাবছেন জাতির মেরুদন্ড যাদের বলা হয় তাদের কী করে একটি বস্তুর সঙ্গে তুলনা করছি? অপরাধ মার্জনা করবেন। বিষয়টি রূপক অর্থে হলেও বাস্তবতা এর থেকেও নির্মম। এ নির্মমতার অল্প কয়েকটি উদাহরণ টেনেই লেখার ইতি টানব। একজন শিক্ষককে যখন তার নিজের বাড়ি থেকে শত শত মাইল দূরে পোস্টিং দেয়া হয় তখন তার মানসিক অবস্থা কেমন হয়। তবুও মেনে নেয়া যেত যদি দূরে গিয়েও সব সমস্যার সমাধান হতো। জানুয়ারির শেষের দিকেই সব শিক্ষক যার যার সুপারিশপত্রে উলিস্নখিত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই শিক্ষকরা করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তা পুষিয়ে নিতেই পাঠদানে আত্ম নিয়োগ করেন। অনেকটা আটঘাট বেঁধেই পাঠদানে মনোনিবেশন করেন এ সমস্ত শিক্ষকরা। কিন্তু বড় ধরনের ধাক্কা খান যখন বেতনের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে ফাইল সাবমিট করেন। মাদ্রাসার নিয়ম হলো প্রতি মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে ফাইল অনলাইনে সাবমিট করতে হবে। আর স্কুলে দু'মাস অন্তর অন্তর ফাইল সাবমিট করতে হয়। মাদ্রাসার শিক্ষকদের একাডেমিক স্বীয় সনদপত্রসহ সর্বমোট ২৯টি কাগজ সাবমিট করতে হয়। যেখানে একজন শিক্ষককে নিবন্ধন পরীক্ষার সময়েই সব কাগজ সাবমিট করেই আবেদন করতে হয়। তারপর নিয়োগ সার্কুলার হলে তখন আবার সব কাগজ সাবমিট করেই আবেদন করতে হয়। মাদ্রাসার এই ২৯টি কাগজের মধ্যে কয়েকটি কাগজের কথা উলেস্নখ না করে পারছি না। যা রীতিমত হাস্যকর। প্রতিষ্ঠানের লোকেশন শনাক্তকরণ কাগজ অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যানের প্রত্যায়ন দিতে হয় তার ইউনিয়নের যেই গ্রামে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবস্থিত সেই লোকেশন। একটা প্রতিষ্ঠানের লোকেশন কোথায় সেটি কি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নেই? ব্যাংক হিসাব নং দিতে হয়। এটা দিতেই হবে। কিন্তু ব্যাংক ম্যানেজারের প্রত্যায়নপত্রও দিতে হয়। শুধু কি তাই, ৩শ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামাও দিতে হয়। যদিও এখানে যোগদানকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতাও রয়েছে। বিশেষ করে মাদ্রাসার অনেক আপডেটস থাকে না যা প্রতি মাসেই করা বাঞ্ছনীয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি না থাকলে তো আরো ঝামেলা বেঁধে যায়। সেক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরও নিতে হয়। সব কাগজ প্রস্তুত শেষে অনলাইনে ফাইল সাবমিট হয়। এই ফাইল প্রথমে দেখেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। কী ভাবছেন, ফাইল সঠিক হলেই কী ওপরে ফরওয়ার্ড হবে? মিষ্টি দিতে হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সরাসরি টাকা চাওয়া হয়। পরিমাণ উলেস্নখ করে দেয়, এর নিচে দিলে ফাইল ফরওয়ার্ড হবে না। বাধ্য হয়েই শিক্ষকরা তাদের প্রস্তাব মেনে নেয়। তারপর উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে মাদ্রাসার ফাইল সরাসরি মাদ্রাসা অধিদপ্তরে চলে যায়। আর স্কুলের ক্ষেত্রে জেলা শিক্ষা অফিসে যায়। সেখানেও পড়তে হয় বিপাকে। যদিও সব কর্মকর্তারা এক রকম না। অবশ্যই ভালো রয়েছেন, যারা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তবে শতকরা ৯০ ভাগ মিষ্টির অপেক্ষায় থাকে। এ সমস্ত ঘাট অতিক্রম করেই শিক্ষকরা তাদের ফাইল অধিদপ্তরে পাঠায়। এবার অপেক্ষার পালা। কবে ইনডেক্স হবে, কবে এমপিও হবে? শিক্ষকরা একমনে পাঠদান করছেন। এদিকে মাসের ১৭ তারিখের পর ফলাফল হলো ফাইল রিজেক্ট। বাড়ি থেকে কয়েকশত মাইল দূরে গিয়ে বাসা ভাড়া করে খেয়ে না খেয়ে পাঠদানে ব্যস্ত থাকে শিক্ষকরা। আর তখন খবর আসে তাদের বেতন এ মাসেও হয়নি। আর এই যে ফাইল রিজেক্ট হচ্ছে তার কারণ কিন্তু একেবারে হালকা। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণেও রিজেক্ট হচ্ছে সেগুলো ব্যতিক্রম। বিশেষ করে মাদ্রাসায় গণহারে ফাইল রিজেক্ট। নাম গোপন রাখার শর্তে এক ভাই জানিয়েছেন তার ফাইল নাকি রিজেক্ট করেছে এবং কারণ উলেস্নখ করেছে উইথআউট রিজন। কতটা হাস্যকর হলে পরে এমন হতে পারে। সুপারিশপ্রাপ্ত ৩৮ হাজার শিক্ষকদের মধ্যে হয়তো কয়েকশ' শিক্ষকের ফাইল গ্রহণ করে ইনডেক্স দেয়া হয়েছে। বাকিদের গণহারে রিজেক্ট। অধিদপ্তরের সেন্ট্রাল প্রোগ্রামার মহামান্য আদালতের রায় মানতেও নারাজ। যেখানে মহামান্য আদালত রায় দিয়েছেন পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নিবন্ধনকৃত শিক্ষকরাও এ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবে। সেমতে সব বিধি মেনেই পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষকরা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়েই এনটিআরসিএ ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি দেয়। সেখানে ৪নং শর্তে স্পষ্ট উলেস্নখ ছিল মহামান্য সুপ্রিটকোর্টের আপিল বিভাগের ৩৯০০/২০১৯ মামলার রায় অনুযায়ী ১২ জুন, ২০১৮ সালের পূর্বে যারা শিক্ষক নিবন্ধন পাস করেন, তাদের জন্য বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। এই সুস্পষ্ট রায়ের পরও ডিও, ডিডি, মেমিস, এমিস পর্যায়ে গণহারে ফাইল রিজেক্ট করে। আর এই রিজেক্টের মানে হচ্ছে একজন শিক্ষকের সোনালি দিনের স্বপ্নটাকে গলাটিপে হত্যা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। শিক্ষকদের পরিবার রয়েছে। ঘরে স্ত্রী সন্তান অপেক্ষায় থাকে, কবে বেতন হবে। পরিবারের সব সদস্য বুঝলেও সন্তানদের বিষয়টি ভিন্ন। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বাবার বেতন হয়েছে বা না হয়েছে সেসব বুঝে না। তারা শুধু বুঝে বাবার চাকরি হয়েছে। ছুটির দিনে বাবা এসেছে মানে তাদের জন্য নতুন জামা ও মজা নিয়ে এসেছেন। এদিকে দ্রব্যমূ্যল্যের যে অবস্থা তাতে যে শিক্ষকরা বেতন পান তারাই তো হিমশিম খাচ্ছে সংসার চালাতে। আর যাদের বেতন এখনো হয়নি তাদের ঘরে খাবার কোথা থেকে আসবে? যেহেতু সব শিক্ষকের পারিবারিক সাপোর্ট এক রকম নয়। ধারদেনা করে কতদিন চলা যায়? বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান থেকে ভাতা প্রদান করা হয় না। এভাবে মানবেতর জীবনযাপন করে মানসম্মত শিক্ষা কতটুকু প্রত্যাশা করা যেতে পারে তা জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন থেকে যায়। এই কয়েক দিনে রিজেক্টকৃত অসংখ্য শিক্ষকদের বিষয়ে তথ্য জেনেছি। রংপুরের সেলিম আহমেদ, নোয়াখালীর তৃঞ্চা রানী বিশ্বাস, পাবনার আব্দুল লতিফসহ অসংখ্য শিক্ষক যারা বাড়ি থেকে প্রায় কয়েকশ কিলোমিটার দূরে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। হাসানুল হক, যার বাড়ি পঞ্চগড় জেলায় অথচ তিনি সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার করাব রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। দিনাজপুরের জ্যোতিশ চন্দ্র রায়, তিনি সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন চট্টগ্রামে। এদের থাকা খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। কেউ কেউ পরিবারের শেষ সম্বল গৃহপালিত পশু বিক্রি করে টাকা নিয়েছেন তবে সে টাকাও শেষ। এখন দু'চোখে শুধু অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখছেন না তারা। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শুধু বলেন ধৈর্য্য ধারণ করতে, নিয়োগ যখন হয়েছে একদিন এমপিও হবেই। এমপিও একদিন হবে সেটা তো সবাই জানে। কিন্তু কতদিন পর, কয় মাস পর? ধৈর্যধারণ করে কতদিন থাকা যায়? একজন শিক্ষকের বক্তব্য শুনে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরিচয় গোপন রেখে তিনি বলেছেন, আমাদের না হয় অনেক ধৈর্য, ১ মণ ধৈর্যধারণ করলাম। সকালে, দুপুরে আর রাতে বিগত দু'মাসে সেই ধৈর্য খেয়েই বেঁচে আছি। কিন্তু আমাদের কোমলমতি সন্তানরা কীভাবে বাঁচবে বলতে পারেন? অনেক শিক্ষকরাই বলেছেন, তারা ঠিক কতটা যোগ্য তা তাদের যোগদানকৃত প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিলেই জানা যাবে। এই অল্প কয়েকদিনের পাঠদানেই যা প্রমাণিত হয়েছে। অবশ্য এ নিয়ে তাদের বলতে হবে না। মেধার বিষয়টি উত্তীর্ণের হিসেব দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। পরিশেষে বলা যায়, এক বুক আশা নিয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষকরা শিক্ষকতা নামক মহান পেশায় এসেছেন। কিন্তু শুরুতেই এভাবে যদি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়। জাতি গড়ার কারিগরদের ঘরে যদি খাবার না থাকে। পাঠদানের বিষয়টি কোন দিকে যাবে? মেধা সম্পন্নরা কি আদৌ এ পেশায় আসবে কিনা? সদ্য যোগদানপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হৃদয়ের আলোকে উদ্ভাসিত করার সুযোগ না দিলে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মান ঠিক কতটুকু উন্নত হবে তা সত্যিই প্রশ্নবিদ্ধ। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এ সমস্ত শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত বছরের পুরনো সেই গতানুগতিক রূপকে বদলে একটি আধুনিক জাতি উপহার দিতে চায়। অথচ তাদের যদি পেটের জন্য, জীবিকার জন্য দুশ্চিন্তা করতে হয় তাহলে আগামীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখি। বিশ্বাস করি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর এ মাসের মধ্যেই সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিও জটিলতার অবসান ঘটিয়ে আগামী মাসেই সব শিক্ষকের এমপিও সুনিশ্চিত করবেন। সোলায়মান মোহাম্মদ : কলাম লেখক