সংবিধান সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও প্রস্তাব  

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪

এ কে এম রেজাউল
এ কে এম রেজাউল করিম

সংবিধান সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম দশটি সুস্পষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সুষ্ঠু শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সংবিধানের পূর্ণ সংস্কার এখন সময়ের দাবি।  

তিনি তার প্রস্তাবে উল্লেখ করেন, বর্তমান সংবিধানের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ধারা অনাক্রম্য হওয়ায় এটি গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে বড় বাধা। এজন্য একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন জরুরি, যা পরবর্তী সংসদে অনুমোদিত হবে অথবা গণভোটের মাধ্যমে পাশ করানো হবে।  

প্রস্তাবিত সংস্কারগুলোর মূল পয়েন্ট :  

১. *নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার:* সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তিন মাসের জন্য সকল পক্ষের আস্থাভাজন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা প্রয়োজন।  

২. *কালো টাকা ও পেশী শক্তির ব্যবহার নিষিদ্ধ:* কঠোর আইন ও তার যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে কালো টাকা ও পেশী শক্তির অপব্যবহার বন্ধ করা।  

৩. *স্বাধীন নির্বাচন কমিশন:* নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও শক্তিশালী করার আহ্বান জানানো হয়েছে।  

৪. *দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ:* একটি আইন প্রণয়নকারী এবং অন্যটি ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের প্রস্তাব করেছেন তিনি।  

৫. *প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ:* একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।  

৬. *প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য:* ক্ষমতার সুষম বণ্টনের মাধ্যমে এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।  

৭. *সংবিধানের মূলনীতি:* "সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার"কে সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।  

৮. *আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির বিরোধিতা:* বর্তমান পদ্ধতির সুশাসন নিশ্চিত করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।  

ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম আরও বলেন, এই প্রস্তাবনা বর্তমান রাজনৈতিক চাহিদা পূরণ করবে এবং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতার প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি করবে।  

সংবিধানের এই সংস্কার প্রস্তাব দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

যাযাদি/ এস