‘আত্মরক্ষা আর গণহত্যা এক নয়’
প্রকাশ | ২০ জুন ২০২৫, ১৯:০২

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে অনেকেই বলেন, ‘ইহুদি জাতি তো অল্প সংখ্যক, তারা চারপাশ থেকে আক্রান্ত—তাহলে তারা নিজেরা রক্ষা করবে না?"
প্রশ্নটা যুক্তিযুক্ত। কিন্তু আত্মরক্ষার নামে যদি একটি জাতির ঘরবাড়ি ধ্বংস, হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দেওয়া, স্কুলে বোমা হামলা, কিংবা হাজার হাজার নারী-শিশু হত্যা করা হয়—তবে সেটাকে কি আত্মরক্ষা বলা যাবে, না গণহত্যা?
???? কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
▪️ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর গাজায় চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন ৫৫,০০০-এর বেশি মানুষ, যাদের মধ্যে ৭০% নারী ও শিশু (সূত্র: UN OCHA, Amnesty International, Al Jazeera)।
▪️ জাতিসংঘ বলেছে: "Nowhere is safe in Gaza" – যা প্রমাণ করে, যুদ্ধ নয়, চলছে পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ।
▪️ আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) বলেছে,
"ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার সংজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে"
(ICJ order, January 2024, South Africa vs. Israel case)
▪️ ২০০৭ সাল থেকে গাজা একটি বন্দিশালায় পরিণত হয়েছে, যেখানে খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ, ওষুধসহ মৌলিক চাহিদাগুলো পর্যন্ত কৌশলে অবরোধ করে রাখা হয়েছে।
???? মানবতা বড় হোক পরিচয়ের চেয়ে
ইহুদি হোন, মুসলিম হোন, খ্রিস্টান বা নাস্তিক—মানবতা যদি আপনার মূলে থাকে, তবে নিরপরাধ শিশুদের কান্না, বিধবা মায়ের আর্তনাদ, কিংবা ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি জাতির কষ্ট আপনার বিবেককে নাড়া দেবে।
ইসরায়েলি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দরকার—এটা যেমন সত্য, তেমনি ফিলিস্তিনিরাও বাঁচার অধিকার রাখে।
????️ শান্তির পক্ষে দাঁড়াই, পক্ষপাতিত্ব নয়
এই সংকটে আমাদের অবস্থান হওয়া উচিত অবিচারের বিরুদ্ধে, গণহত্যার বিরুদ্ধে, এবং মানবতার পক্ষে। শুধু সংখ্যা বা ধর্মীয় পরিচয় নয়, বিবেক দিয়ে বিচার করাই সভ্যতা।
লেখক: মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ এবং মানবাধিকার কর্মী।
চেয়ারম্যান -সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট