আজ ফটোগ্রাফি ডে 

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০২৩, ১৯:১৬

যাযাদি ডেস্ক

আজ বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস। ফটোগ্রাফি কার না ভাল লাগে। ফটোগ্রাফি সব বয়সের মানুষের চাহিদার অন্যতম একটি বিষয়। ফটোগ্রাফি এখন আধুনিক শিল্প। বর্তমান দুনিয়ায় স্মার্টফোন নেই এমন লোক খুব কমই আছেন। ফলে বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৮৩৭ সালে নাইসফোর নিপেক ও লুইস ডাগুয়েরে ডাগুয়েরিওটাইপ ফটোগ্রাফিক সিস্টেম আবিষ্কার করেন। এই উপায়ের নাম হল ডাগুয়েরিওটাইপ। বিজ্ঞানী লুইস ডাগুয়ের সর্বপ্রথম ছবি তোলার ব্যবহারিক এ উপায় আবিষ্কার করেন। তার নাম অনুসারেই ছবি তোলার এই উপায়ের নাম দেওয়া হয় ডাগুয়েরিওটাইপ টাইপ ফটোগ্রাফি।

১৮৩৭ সাল থেকে তিলে তিলে গড়েওঠা ফটোগাফীর ইতিহাস বিগত দশ বছরে ব্যাপক ভিত্তিক রূপ লাভ করে। এখন ফটোগ্রাফী বলতেকোটি লোকের চাহিদা আর প্রিয় সখ হিসেবে আক্ষায়ীত। শত শত কোটি টাকার লেনদেন হয়ফটোগ্রাফী পন্য বিক্রয়ের মাধ্যমে। সামাজিক নিরাপত্তা থেকে দৈনন্দিন আচার অনুষ্ঠানসহ সব জায়গায়ই ছবি প্রয়োজন। 

হয়তো বা ফটোগ্রাফারদের অনেকেই জানে না তার ক্যামেরারসাটার স্পিডের কথা, জানেনা ফটোগাফীর ইতিহাস আর জানে না Henri Cartier-Bresson বা evenAnnie Leibovitz এর মতোনিবেদিত প্রানের কথা যাদের মাধ্যমে আজ এ ফটো রাজ্য।

ফটোগ্রাফী ব্যাপারটি জানার আগেই মানুষ দেয়ালে বা কাগজের টুকরাতে ছবি আকতে জানতো। ফটোগ্রাফীর কয়েক শতাব্দিআগেই ছবিকে কাগজের মাধ্যমে প্রকাশ করার ব্যবস্থাপনা করা হয় যাকে ক্যামেরা অবস্কুরা(ল্যাটিন শব্দ Camera Obscura ) বলা হয়।

ধারণা করা হয় এটি ১৩ থেকে ১৪ শতাব্দির ঘটনা হবে। তবেদশম শতাব্দিতে হাসান ইবনে হাসান ক্যামেরা অবস্কুরা কার্যপ্রনালী ব্যাখ্যা করেনযেটিই মূলত: বর্তমান এনালগ ক্যামেরার ভিত্তি।

ক্যামেরা আবিষ্কারেরা মূলত: একটিচারদিকে ঘেরা অন্ধকার বক্স এর এক দিকে একটি ছোট বৃত্তাকার আলো প্রবেশের জন্য সাটারদিয়ে ঘেরা যা বন্ধ করা বা খোলা যায়। আলোর সূত্রানুযায়ী আলো প্রবেশের পর তা বক্সটিরঅপর পাসের দেয়ালে উল্টো প্রতিবিম্ব তৈরী করতো। বর্তমান এনালগ ক্যামেরা আর ক্যামেরাঅবস্কুরার মধ্যে মূল পার্থক্য হলো-সেখানে দেয়ালে প্রতিবিম্ব তৈরী করে আর এনালগক্যামেরায় ফিল্ম প্রতিবিম্ব তৈরী করে।

ফটোগ্রাফী অনেকটা চিত্রকলারমৃত্যুর কারন। ১৬ শতাব্দিতে Leonardo, Michelangelo ইত্যাদির মতো অনেক শিল্পিরহাত ধরে চিত্রকলা উত্তোরোত্তর বৃদ্ধ পেতে থাকে। ইটালীর পন্ডিত GiovanniBattista della Portacentury ক্যামেরা অবস্কুরার মাধ্যমে খুব সহজে ছবি আকার পদ্ধতি বর্ণনাকরেন। এ ক্ষেত্রে ক্যামেরাটি একটি বড় ঘরের মতো ছিল।

ফ্রান্সের আবিস্কারক JosephNiepce ১৮২৫সালে প্রথম ছবি তোলেন। ছবিটি তোলতে আট ঘন্টা সময় লাগে। এ সময়ে সূর্য পূর্ব থেকেপশ্চিমে যায় তাই ছবিতে একটা অংশ আলোকিত হয়ে ওঠে। আসলে এটা কোন এক্সবিশনের জন্যতোলা হয় নি,ফটোগ্রাফীটানয় বরং টেকনিক্যাল বেপারটিই বেশি প্রাধান্য পায়।

তখন ছবি তোলাটা সবার জন্য সহজহলেও তা প্রিন্ট করাটা ছিল অত্যন্ত জটিল ও ব্যায়বহুল একটি কাজ।

১৮৩৯ সালে স্যার জন হারসেলপ্রথম গ্লাস নেগেটিভ তৈরী করতে সক্ষম হোন। সে বছরই ফটোগ্রাফী (গ্রিক শব্দ fos যার অর্থ আলো grofo যার অর্থ লেখা) শব্দটিব্যবহৃত হয়। ফটোগ্রাফী সেই সময় থেকে আরাম্ভ হলেও তা মানুষের মধ্যে বিস্তার ওজনপ্রিয়তা লাভ করতে অনেক সময় লেগে যায়।

তখন ফটোগ্রাফী বলতে কোনব্যক্তি বা পরিবারের ছবিই বুঝাতো। ১৮৮৮ সালে “Youpress the button, we do the rest” এই শ্লোগানটি নিয়ে.কোডাক ক্যামেরা প্রথম বাজারে আসে।

১৯০১ সালে মধ্যবিত্তদের জন্যকোডাকের আরেকটি ক্যামেরা বাজারে আসে। এটি দিয়ে শুধু মাত্র সাদাকালো ছবি তোলা যেতো।তবে এখন পর্যন্ত এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি টেকনোলজী।

১৮৬৪ সালে ফ্রান্সের LouisDucos de Hauron এবং CharlecCros Practical রঙিনছবি তোলার পদ্ধতির উপর প্যাটেন্ট তৈরী করেছিলেন।

সবশেষে ১৯০৭ সালে রঙিন ছবিতোলার ক্যামেরা বাজারে আসে। এটি দিয়ে লাল,সবুজ ও নিল রঙের আলোরপ্রতিবিম্ব থেকে নেগেটিভ করা যেত, পরবর্তিতে তা থেকে পজেটিভ বের করাহতো।

১৮৬১ সালে বিখ্যাত বিজ্ঞানী ম্যাক্সওয়েল (যিনিইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের উপর কাজ করেছেন) প্রথম রঙিন ছবি তোলেন।

যাযাদি/ এম