আমাদের প্রধানমন্ত্রী চাতুরতায় অপরিসীম: জাফরুল্লাহ

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০২০, ২০:৫০

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

 

ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন,  কেউ খাবে তো কেউ খাবে তা হবে না। এদেশকে জালেমের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী চতুরতাতে অপরিসীম। প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো ভালো কাজ করেছেন। উনি আরো ভালো কাজ করতে চান কিন্তু কেন যেন তিনি আটকে যান।

 

এন্টিবায়োটিক্যাল বিপদের কাথা তিনি বলেছেন। এটা একদম সঠিক কথা। কিন্তু তার জন্য তিনি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন। সুন্দর কথাটা বলেছেন বিপদ আসতে পারে বলেছেন। কিন্তু কি করতে হবে চিকিৎসকের প্রিসক্রিপসন অডিট করতে হবে। সে আজে বাজে অষুধ দিচ্ছে কিনা? এটা তিনি আর করেন না।

 

মুন্সীগঞ্জ জেলা ১৯৮৪ সালে মহাকুমা থেকে জেলা হয়েছে। এতদিনে ভাসানীল কথামতো দেশ চললে বাংলাদেশ আজ ব্রুনাই হতো। এখন আর ইসলামাবাদরা শাসন করে না। শাসন হচ্ছে গোপালগঞ্জের, শাসন হচ্ছে কিশোরগঞ্জের, শাসন চলছে ঢাকার। মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীর মিনারে শনিবার (২১ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত দীর্ঘ দুই ঘন্টা ব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভাসানীর চেতনায় প্রগতিশীল ও দেশ প্রেমিক শক্তির ঐক্য চাই এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উদ্যাপিত হলো স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যু বার্ষিকী।

 

তিনি বলেন, আমি একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। বাংলাদেশের যেই শাসন ক্ষমতায় এসেছে তাদের প্রত্যেককে কাছে থেকেই তিনি দেখেছেন। বিশেষত তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলেন। তিনি তাকে খুব স্নেহ করেছেন। ছোট ছোট ঝগড়া ঝাটিও করেছি তার সাথে। মুক্তিযুদ্ধের পর আজকে আমার যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তার নামটা বঙ্গবন্ধুর দেয়া। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য ৩১ একর ভুমি একর করে দিয়েছেন। ওনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পর বলেছিলেন, ডা: ঢাকাতে একটি বড় করে হাসপাতাল দিতে হবে। রাষ্ট্রের কাজ আমার কথা শুনে গ্রামে দিয়েছেন। ৬৪টি জেলার গভর্ণর সেটা ৪ ঘন্টার বক্তিতার ফলাফল।

 

মৃত্যু আগের দিন আমাকে ডেকে পাঠান সাভার থেকে। ওনি চেয়েছিলেন আমি বাকশালে যোগদান করি। আমি বলেছিলাম মুজিব ভাই আপনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন আপনি এটা করেন না এটা অত্যান্ত ভুল কাজ হবে। না আমি তো তোদের দলে।

 

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে তিনি আরো বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৬টা সিমেন্ট ফ্যাক্টরী হয়েছে কোন তুলনা নেই। জিকে শামীকে ধরেছেন ভিআইপি মার্যাদা দিয়ে পিজি হাসপাতালে ৮মাস রেখেছেন।

 

উপপস্থিত ভাসানী অনুসারী সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের এলাকার শাসন নিতে হবে তবে দ্রুত আপনাদের উন্নয়ন হবে।

 

ডা: জাফলুল্লাহ বলেন, এখন ঢাকা থেকে এসে শাসন করেন। শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা করে একে অপরকে শ্রদ্ধা করতে হবে। আগরতলার মামলা সত্য ঘটনা ছিল। প্রত্যেকটি নায়কের সাথে স্থানীয় শাসনের বিকেন্দ্রিকরণ শেখ মুজিব, ভাসানীকে শ্রদ্ধা করতে বিকেন্দ্রিক জাতিয় ভোট কেটে চুরি হবে না।

 

সকল সেক্টরের চাঁদা বন্ধ করতে হবে। পরিবর্তন চাই কেউ না খেয়ে থাকবে না কেউ বিনা চিকিৎসায় মরবে না। শাসন এক ব্যক্তির শাসন ঠিক না।

 

ভাসানী অনুসারী পরিষদের মুন্সীগঞ্জ জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, জাতীয় পার্টির প্রসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লিংকন, সাবেক ন্যাপ নেতা অধ্যাপক আবুল বাশার প্রমুখ।