বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি চাইলে ‘আগে করোনা টিকা দিতে সুপারিশ’ করবেন তথ্যমন্ত্রী

যাযাদি ডেস্ক
  ২০ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৪৫

বিএনপি আগে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে চাইলে সে ব্যবস্থা করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাবেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বুধবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে টিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

ভারতে টিকা নিতে গিয়ে ‘কয়েক জায়গায় মৃত্যু হয়েছে’ দাবি করে সকালে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বাংলাদেশে এই টিকা আগে ‘ভিআইপিদের’ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আগের দিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, দেশের সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা কীভাবে কতটা পাবে, সে বিষয়ে তার সংশয় আছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “তারা মনে করেছিল এই মহামারী সরকার সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে পারবে না। যখন সেটি হয়নি তারা প্রথম থেকে আশঙ্কা বা ধারণা করেছিল এমনকি হয়ত প্রার্থনাও করেছিল যে, করোনায় যেন ব্যাপক লোক ক্ষয় হয় এবং দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, কিন্তু তা হয়নি। এতে তারা প্রচণ্ড হতাশ হয়েছে।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “তারা গুজব রটিয়েছিল একটি ভুল সংবাদের প্রেক্ষিতে সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন আসছে না। কিন্তু সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন আসছে। এমনকি আমরা বিনামূল্যে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাচ্ছি, ভারত সরকারের উপহার হিসাবে।

“যখন সবকিছুতে ব্যর্থ হচ্ছে তখন ভ্যাকসিন নিয়ে অন্য কথা, লুটপাট। লুটপাটের দল তো বিএনপি, সেজন্য সবকিছুতে লুটপাট দেখার চেষ্টা করে।”

সরকার একটি নীতিমালার ভিত্তিতে টিকা দেবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার মহামারীর ক্ষেত্রে, তারা নিশ্চয়ই প্রথমে পাওয়ার অধিকার রাখে। এই ব্যাপারে সরকার চিন্তাভাবনা করে যাদেরকে আগে দেওয়া প্রয়োজন তাদেরকে আগে দেওয়া হবে।

“বিএনপি যদি আগে ভ্যাকসিন নিতে চায় আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারি বিএনপিকে যেন আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।”

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদকে।

জবাবে তিনি বলেন, “এটি যে খুব ব্যাপক তা নয়। তবে যারা দলে থেকেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অতীতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখনও নেওয়া হবে।“

“যারা দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে অতীতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তাদের দলীয় পদবী কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এখনও দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযাযী আলাপ আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে