মঞ্চটি গুটিয়ে নিলেন আবদুল কাদের মির্জা

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:৫৫ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:২০

স্টাফ রিপোর্টার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট রূপালী চত্বর থেকে সেই সভামঞ্চটি গুটিয়ে নিলেন আবদুল কাদের মির্জা।

 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি পৌর মেয়র হিসেবে আবদুল কাদের মির্জা শপথ গ্রহণের পরদিন থেকে মঞ্চটি তৈরি করে সেখানে নিয়মীত সমভা সমাবেশ করে আসছিলেন। এছাড়া জানুয়ারি মাসে নির্বাচনের আগে এবং পরে আরো বেশ কয়েকবার একই স্থানে তিনি অস্থায়ী মঞ্চে সভা সমাবেশ করেন।

 

অবশেষে মঙ্গলবার রাতে প্রশাসনের নির্দেশে মির্জার লোকজন সভা মঞ্চটি সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এ সময় আবদুল কাদের মির্জার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চ খোলার দৃশ্য দেখে হতাশতা ব্যক্ত করেন তিনি এক পর্যায়ে নিজ অনুসারীদেরকে মঞ্চ থেকে ব্যানার খুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন ‘যযয, মারি হারাক- ধরি হালাক যাও যাও চলে যাও। (যাও যাও। মেরে ফেলুক, ধরে ফেলুক, চলে যাও-চলে যাও)।’

 

এ সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি উপস্থিত ছিলেন।

 

স্থানীয় সাংবাদিক শরফুদ্দিন শাহীন জানান, এই মঞ্চ থেকে বসুরহাট পৌর সভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নিজ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, মন্ত্রী-এমপি এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে নানা রকম বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জার এসব বক্তব্য দেশব্যাপী আলোচনা সমালোচনার ঝড় তোলে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে রূপালি চত্ত্বরে বাঁশের খুটি পুঁতে ও কাঠ দিয়ে তৈরি মঞ্চ থেকে সভা সমাবেশ করে আসছেন। এ মঞ্চে তিনি দলীয় নেতাকর্মী, মন্ত্রী-এমপি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নামের সঙ্গে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের তকমা মাখেন।

 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনির বলেন, রূপালী চত্বর নামে পুরো জায়গাটা বাজারের ভেতর সড়কের ওপর। সেখানে সভা সমাবেশ হলে জনচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আবদুল কাদের মির্জাকে মঞ্চটি সরিয়ে নিতে বার বার তাগিদ দেওয়া হলেও তিনি শুনেননি। গত সোমবার ১৪৪ ধারা পৌর এলাকায় জারির মধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বারণ উপেক্ষ করে সেখানে সভা করার চেষ্টা করেন তিনি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সভামঞ্চের কাছ থেকে সরে যাওয়ার পর পরই তিনি বার বার সেখানে সভা করার চেষ্টা করেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতেও আইন শৃঙ্খালা পরিস্থিতি অবনতি ঘটনার আংকায় বসুরহাটে কাউকে সভা সমাবেশ না করার আহবান জানায় প্রশাসন। প্রশাসনের বারণ উপেক্ষ করে মির্জা সাহেব এবারও বার বার সভাস্থলে তার লোকজনকে জড়ো করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমাসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তিনি মঞ্চটি সরিয়ে নেন। জনচলাচলের জায়গায় এ ধরণের মঞ্চ করা বেআইনী উল্লেখ করে ওসি বলেন, আর কেউ যাতে নতুন করে মঞ্চ তৈরি করতে না পারে সেদিকে আমাদের নজরদারি থাকবে।

 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

 

যাযাদি/ এস