নিজের ইচ্ছেমতো বক্তব্য দিলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মতের বাইরে গিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো বক্তব্য দিয়ে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

তিনি বলেন, দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপে কেউ জড়িত থাকলে, যত বড়ই নেতা হোক, কেউ পার পাবে না। কে কোথায়, কখন কি করছেন সবাই নজরদারিতে আছেন। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আগামী কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুটিকয়েক লোক বদনাম করলে, দল তার বোঝা নেবে না। দল করলে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে দলে যেকোনো পর্যায়ে শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো বক্তব্য বা দ্বিমত থাকলে তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করতে হবে, তাতেও সমাধান না হলে লিখিতভাবে সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। দলের জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ের যেকোনো কমিটি কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া বাতিল করা যাবে না।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজের অবস্থান ভারী করার জন্য পকেট কমিটি বরদাস্ত করা হবে না। সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে পর্যায়ক্রমে থানা পর্যন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। তারাই দুঃসময়ে দলের সঙ্গে থাকবে। বসন্তের কোকিলদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না।

সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐকবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জনের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ একটি পরিবার, যারা এই পরিবারের ঐক্যে ফাটল ধরাবে তাদেরকে কোনোভাবেই ক্ষমা করা হবে না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

যাযাদি/ এস