ঘেরাও কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করায় পুলিশের ধন্যবাদ

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২১, ১৫:৪৪ | আপডেট: ০১ মার্চ ২০২১, ১৬:৫৭

যাযাদি ডেস্ক

 

লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত ও বিচার, মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ৮ ব্যক্তির মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের অনুরোধে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করায় পুলিশ তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।

 

লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর তদন্ত ও বিচার, মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৮ জনের মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল।

 

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গিয়েছিলেন জোটের নেতা-কর্মীরা৷ পরে বেলা সোয়া একটার দিকে তাঁদের কর্মসূচি শেষ হয়। দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী সহকারে মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে এলে পুলিশের একটি দল তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে৷ পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর বাধা উপেক্ষা করেই বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে থাকেন৷ সচিবালয়সংলগ্ন ডিপিডিসি ভবনের সামনে পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আগে থেকেই অবস্থান করছিল৷

 

সেখানে পুলিশের বাধায় মিছিলটি আর এগোতে পারেনি৷ ডিপিডিসি ভবনের সামনে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থানে থেকেই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এ সময় শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয় অভিমুখী সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ ছিল৷ সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইকবাল কবীর, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি আন্দোলন) কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীন, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর শাখার নেতা তাসিন মল্লিক প্রমুখ বক্তব্য দেন৷

 

সমাবেশের সমাপনী বক্তব্যে ইকবাল কবীর বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সংগঠন এখানে একত্র হয়েছি৷ ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আমরা কথা বলা শুরু করেছি৷ তাঁদের সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী সময়ে এই মিছিলকে ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিবাদে রূপান্তরিত করব৷ পরবর্তী কর্মসূচি আমরা পরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাব৷’ তাঁর বক্তব্যের পর বেলা সোয়া একটার দিকে নেতা-কর্মীরা রাস্তা ছেড়ে দিলে এই সড়কে ফের যান চলাচল শুরু হয়৷

 

কর্মসূচি শেষে পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ১প্রগতিশীল ছাত্রজোটের উদ্যোগে মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়েছিল৷ আমরা তাঁদের এখানে (ডিপিডিসি ভবনের সামনে) থামার জন্য অনুরোধ করেছি৷ তাঁরা আমাদের অনুরোধ রেখেছেন৷ খুব শান্তিপূর্ণভাবে তাঁরা তাঁদের দাবিদাওয়াগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেছেন৷ শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের কর্মসূচি শেষ হয়েছে৷ কোনো ধরনের কোনো সংঘর্ষ ছিল না।’

 

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পথিমধ্যে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীদের সচিবালয় অভিমুখে না গিয়ে অন্য কোনো দিকে তাঁরা সমাবেশ করতে পারেন কি না, তা বলা হয়েছিল৷ অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ ও বন্ধুভাবাপন্ন পরিবেশে তাঁদের প্রতি এই অনুরোধ করা হয়েছিল৷ কোথাও তাঁদের কোনো বাধা দেওয়া হয়নি৷ আমাদের অনুরোধ রেখে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করে গেছেন৷ তাঁদের আমরা ধন্যবাদ জানাই৷’

 

যাযাদি/এসএইচ