মামুনুল কাণ্ডে দোটানায় হেফাজতে ইসলাম

প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০২১, ১১:৪৬

যাযাদি ডেস্ক

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ইস্যুতে দোটানায় পড়েছে আলোচিত ও সমালোচিত সংগঠনটি। সোনারগাঁ-কাণ্ডের পর সংগঠনের একটি অংশ মামুনুল হককে বহিষ্কারের দাবি তুলেছে। অপর অংশ কৌশলে মামুনুলের পক্ষাবলম্বন করে তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। মামুনুল-কাণ্ডে কঠোর সমালোচনায় মুখর আল্লামা আহমদ শফী অনুসারীরাও। মামুনুল হকের ঘটনাকে ধারাবাহিক অপকর্মের ফল বলে দাবি করেছেন তারা।

 

বহিষ্কারের দাবির বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ‘ওনাকে বহিষ্কারের দাবি উঠতেই পারে। কিন্তু সংগঠন থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে তা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। মামুনুল হক নিজেই বিষয়টা ব্যাখ্যা করেছেন। তার ব্যাখ্যা দেওয়ার পর আমাদের বলার আর কিছু থাকে না।’

 

আল্লামা আহমদ শফী অনুসারী হিসেবে পরিচিত সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটির ধারাবাহিক অপকর্মের ফল হচ্ছে মামুনুল-কাণ্ড। তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে কওমি সমাজ আজ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। মামুনুল হকসহ বর্তমান কমিটির নেতাদের বয়কট করার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ করছি।’

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতে ইসলামের এক নেতা বলেন, ‘সোনারগাঁয়ে নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার পর মামুনুল হককে নিয়ে ঢাকার একটি মাদরাসায় জরুরি বৈঠকে বসেন হেফাজতে ইসলামের কয়েকজন সিনিয়র নেতা। ওই বৈঠকে মামুনুল হককে দ্বিতীয় বিয়েসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন তারা। সংগঠনের দুই নায়েবে আমির বিয়ে এবং সোনারগাঁ-কাণ্ডের বিষয়ে বারবার প্রশ্ন করলেও কোনো উত্তর দেননি মামুনুল হক। হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নেতাদের বড় অংশ মামুনুল হকের বহিষ্কার দাবি করে আমির ও মহাসচিবকে চাপ প্রয়োগ করছে।’

 

অন্যদিকে বর্তমান নেতৃত্বের একটি অংশ মামুনুল হকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাকে রক্ষায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। এমনকি মামুনুল হক সরকারের রোষানলের শিকার এমন দাবি করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। তবে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন আল্লামা আহমদ শফী অনুসারী হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। তাদের দাবি, হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটির অপকর্মের ফল হচ্ছে মামুনুল-কাণ্ড। তাই বর্তমান কমিটির নেতাদের বয়কট করার দাবি তুলেছেন তারা।

 

যাযাদি/এসএইচ