সরকার অমানবিক কাজ করেছে: খালেদার আইনজীবী

প্রকাশ | ০৯ মে ২০২১, ১৯:৫৬

যাযাদি ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার জন্য অনুমতি না দিয়ে সরকার অমানবিক কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

 

পরিবারের পক্ষ থেকে চেষ্টার পর বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি পাননি খালেদা জিয়া। রোববার সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর এক প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী খন্দকার মাহবুব ওই মন্তব্য করেন।

 

আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে অমানবিক কাজ করেছে। উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে সরকারের দায় নেওয়া উচিত হয়নি। আইনের ভুল ব্যখা দিয়ে এটা করা হয়েছে। সরকার ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সাজা মওকুফ বা সাজা কমাতে পারে।’

 

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে নিম্ন আদালতে। আপিলের সিদ্ধান্ত এখন আসেনি। চিকিৎসা শেষে ফিরে আসতে হবে-সরকার এই শর্ত দিতে পারত। খালেদা জিয়া তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। তার অবস্থা অত্যন্ত জটিল। সরকার মানবিকভাবে দেখতে পারত।’

 

গত বুধবার রাতে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার খালেদার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় যান।  এরপর মতামতের জন্য সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেই আবেদনটি যাচাই করে এ বিষয়ে আইনি মতামত দিয়ে রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়।

 

বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় যে মতামত দিয়েছে তাতে খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার আবেদন আমরা মঞ্জুর করতে পারছি না।’

 

খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। তিনি ওই হাসপাতালের হ্নদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

যাযাদি/এসআই