বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

​সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করতে হবে: মির্জা ফখরুল

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ জুন ২০২১, ২০:৩৯

রাজপথের ‘গণঅভ্যুত্থানে’ সরকার পরাজিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, সময় হলেই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের উদ্যোগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে 'বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি এসময় বলেন, ‘নবীন প্রজন্মকে সংগঠিত করেই সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করতে হবে। রাজপথের গণঅভ্যুত্থানেই সরকার পরাজিত হবে, অবশ্যই হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-যুবকরা মাঠে না নামলে আন্দোলনের সফলতা আসবে না। ছাত্র-শ্রমিক-যুবক-তরুণদের সংগঠিত করে তাদের নেতৃত্বে রাজপথে গণঅভ্যুত্থান হবে। তরুণদের ছাড়া গণঅভ্যুত্থান হবে না।’

তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন প্রতিবাদী মানসিকতা নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন তরুণ ছিলাম তখন আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতাম। এখন আমাদের বয়স হয়েছে। এখনকার তরুণদের মধ্যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মানসিকতা দেখি না। তারা হুকুমের অপেক্ষায় থাকে, আমরা কারও হুকুমের অপেক্ষায় থাকতাম না।’

বর্তমান সরকার জনগণের সবচেয়ে ‘বেশি ক্ষতি’ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার। আওয়ামী লীগ কখনও সুষ্ঠু নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।এই সরকার জনগণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। এ সরকার মিডিয়া, বিচার ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করেই ক্ষমতায় এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের খুব পরিস্কার কথা, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এই নির্বাচন কমিশন কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সুতরাং তাদেরকে অবশ্যই যেতে হবে। এরপর একটি নিরপেক্ষ সরকার ও একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে।’

পরিবর্তনের এই কাজটি বিএনপিকেই করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কাজটি আমাদেরকে করতে হবে, অন্য কেউ করে দিয়ে যাবে না। আমেরিকা করে দিয়ে যাবে না, চীন করে দিয়ে যাবে না, ভারত করে দিয়ে যাবে না। বাংলাদেশের মানুষকে এটা করতে হবে এবং এর নেতৃত্ব অবশ্যই বিএনপিকে দিতে হবে।

এই সরকার তথ্য-উপাত্ত নিয়েও নৈরাজ্য করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন তথ্য-উপাত্ত নিয়েও নৈরাজ্য চলছে। তাদের একটা পরিসংখ্যানও ঠিক নাই। তবে তারা টাকা পাচার ঠিকই করছে, বাড়ি হচ্ছে কানাডায়, মালয়েশিয়াতে, সৌদি আরবে, লন্ডনে। শপিং মল তৈরি হচ্ছে। কেউ আর দেশে টাকা রাখে না। কারণ জানে যে, এমন সময় আসবে যখন প্রত্যেকটার হিসাব নেবে মানুষ।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি হয়েছিল। এই সরকার যদি শাহেদ করিমকে গ্রেফতার করতে পারে, তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কেন বিচারের আওতায় আনল না।’

করোনা মহামারি মোকাবিলায় এ সরকার ‘সম্পূর্ন ব্যর্থ’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, জনগণকে টিকা দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই।

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ড্যাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম বক্তব্য রাখেন।

যাযাদি/এসআই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে