টিকার এসএমএস পেলেন খালেদা জিয়া, কেন্দ্র শেখ রাসেল

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০২১, ১৬:০৬

যাযাদি ডেস্ক

 

 

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার জন্য নিবন্ধনের ১০ দিনের মাথায় এসএমএস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার টিকাকেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। ঈদের আগেই তিনি টিকা নেবেন বলে দল থেকে বলা হয়েছে।

 

খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, ঈদের আগেই টিকা নেবেন বেগম জিয়া। তবে টিকাকেন্দ্রে নয়, বাসায় থেকে টিকা নিতে চান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

 

গত ৮ জুলাই টিকা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে টিকার জন্য নিবন্ধন করেন খালেদা জিয়া। নিবন্ধনে টিকার কেন্দ্র নির্বাচন করা হয় মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

 

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, সাধারণত নিবন্ধনের পর টিকা কবে নেয়া যাবে সেই নির্ধারিত তারিখ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় একটি এসএমএস পাঠায়। বিএনপি চেয়ারপারসন রোববার সেটি পেয়েছেন।

 

টিকার জন্য নির্ধারিত তারিখ কবে নির্ধারণ করা হয়েছে জানতে চাইলে এ জেড এম জাহিদ বলেন, ‘ম্যাডাম এসএমএস পাইছেন। ঈদের আগেই টিকা নেবেন। তবে আমরা চাচ্ছি, তিনি যেন বাসা থেকেই টিকা নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করার। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এ অবস্থায় তার বাসার বাইরে যাওয়া কোনোভাবেই নিরাপদ নয়।’

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, এসএমএসে খালেদা জিয়ার টিকা দেয়ার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯ জুলাই। আর ঘরে থেকেই যেন টিকা দিতে পারেন তার জন্য মহাসচিব সরকারের এক মন্ত্রীর সাথেও কথা বলছেন।

 

৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন।

 

এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এখনও খালেদা জিয়ার করোনা–পরবর্তী চিকিৎসা চলছে।

 

খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয় গত ১৪ এপ্রিল। প্রথম দিকে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন তিনি। পরে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ৯ মে তার করোনা পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ আসে।

 

তারপরও শারীরিক সমস্যা থাকায় প্রায় দেড় মাস তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়। কিছুদিন সেখানকার করোনারি কেয়ার ইউনিটেও (সিসিইউ) রাখা হয়েছিল বিএনপি নেত্রীকে।

 

খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তবে করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর তার আর্থ্রাইটিসসহ পুরোনো অনেকগুলো রোগের উপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়ায় সেগুলোর জটিলতা বেড়েছে। এর মধ্যে হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে বিএনপি থেকে বলা হয়েছে।

 

যাযাদি/এসআই