আওয়ামী ঘরানার অ্যাক্টিভিস্টরা সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়: হাসান মাহমুদ

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৩৫

যাযাদি ডেস্ক

 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী আহমেদরা সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য বিদেশে অ্যাক্টিভিস্ট নিয়োগ করেছেন। এদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সুপ্রচার আরো জোরালো হবে। তখন এ অপপ্রচারগুলো মাঠে মারা যাবে।’

 

সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

আওয়ামী লীগ থেকে বলা হচ্ছে, প্রচার-প্রচারণার জন্য ও অপপ্রচার রোধে এক লাখ অ্যাক্টিভিস্ট নামানো হবে। এ বিষয়ে বিএনপি বলছে, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ এবং লেখনি সেন্সর করার জন্য এক লাখ অ্যাক্টিভিস্ট নিয়োগ করবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সকল অ্যাক্টিভিস্ট কাজ করবে। এখনও হাজার হাজার অ্যাক্টিভিস্ট আমাদের দলের বা ঘরোনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকটিভ আছে। সেগুলোকে সমন্বয় ঘটিয়ে যাতে একসাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে, সে কথা বলা হয়েছে।’

 

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যারা এসব কথা বলে, তাদের আসলে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম কিভাবে চলে, সে সম্পর্কে ধারণা নেই। এখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাক্টিভিস্ট কাজ করবে, কার কণ্ঠ কে রোধ করবে?’

 

ইউটিউবে যে পরিমাণ অশ্লীল কন্টেন্ট দেখানো হয়, একই সাথে রাষ্ট্রসহ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোও হয়। সেগুলো বন্ধ করার কোন সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলোর সার্ভিস প্রোভাইডার হচ্ছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য যেসকল প্লাটফর্মে দেখানো হয়, সে সকল কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে বলা হয়। অনেক ক্ষেত্রে সাড়া পাওয়া যায়, অনেক ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘আরো জোরালো ব্যবস্থা যাতে নেয়া যায়, সেজন্য আমরা সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে আলোচনায় আছি। অনেকটা এগিয়ে এসেছে, আমরা আশায় আছি। সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকসহ অন্যান্য প্লাটফর্মকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে তাদের অফিস খোলার জন্য। বাংলাদেশে যখন এ সকল কোম্পানি নিবন্ধিত হবে, তখন বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এ সমস্ত কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া অনেকটা সহজ হবে। এ ধরনের কন্টেন্ট সরানো বা বন্ধ করার ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো দূর হবে।’ সূত্র : ইউএনবি

 

যাযাদি/এসআই