মুরাদের কিছু বক্তব্য সরকার ও দলকে বিব্রত করেছে
প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:১৫
সম্প্রতি বিতর্কিত বক্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জেরে ডা. মুরাদকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) তিনি মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ডা. মো. মুরাদ হাসানের পদত্যাগ ইস্যুতে বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ।
নির্দিষ্ট কী কারণে মুরাদ হাসান পদত্যাগ করেছেন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আমার নজরে আসে। তার কিছু বক্তব্য, ঘটনা সরকার ও দলকে বিব্রত করেছে। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। সেই অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন। তার সই করা পদত্যাগ পত্রটি ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি আসলে দুঃখজনক। তিনি আমাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সবসময় সাহায্য করেছেন।’
সদ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ‘শারীরিক সুস্থতা’ নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মুরাদ হাসান আগে যেমন ছিলেন তিন মাস ধরে তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছিলো। বিভিন্ন ঘটনা ও কর্মকাণ্ডে আমার তেমনটি মনে হচ্ছিল।’
প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে মুরাদ হাসান কোনো বক্তব্য দেননি বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রসঙ্গে দৃষ্টিপাত করলে তিনি বলেন, ‘কারও যদি নৈতিকতার পরিবর্তন ঘটে তাহলে দল বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে দলের বাইরে সরকারি বিষয় হলে প্রধানমন্ত্রী চাইলে যে কাউকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন বলে সংবিধানে উল্লেখ আছে।’
এতোসব বিতর্কের কারণে সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু মুরাদ হাসান জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি, তাই যে কেউ তাকে বাদ দিতে পারবে না। আমি তার সুস্থতা কামনা করছি।
যাযাদি/এসআই