অস্ত্র দিয়ে হামলা করলে পুলিশ কি আঙুল চুষবে, প্রশ্ন কাদেরের

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২২, ১২:৩২

যাযাদি ডেস্ক
ফাইল ছবি

ভোলায় পুলিশের ওপর বিএনপির নেতা কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখলে বোঝা যাবে কারা অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে।’ হামলা করলে পুলিশ কি আঙুল চুষবে বলে প্রশ্ন করেন তিনি।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো পরে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভোলার ঘটনা কে ঘটিয়েছে? ভিডিও ফুটেজ দেখুন। কীভাবে ঘটেছে, কারা আক্রমণ করেছে, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কারা মিছিল করেছে, কারা সেই অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে? পুলিশ কি করবে? আঙুল চুষবে?’

ভোলায় বিএনপির ঘাতক চেহারা স্পষ্ট হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা চেয়েছে নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও অস্থির, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। আগুন সন্ত্রাস করে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে।’

প্রসঙ্গত, সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাই ভোলায় আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। ওই ঘটনায় পুলিশ ছাড়াও বিএনপির শতাধিক নেতা কর্মী আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হন। একই ঘটনায় গত বুধবার বিকেলে মারা যান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম।

আগস্ট মাস এলেই বিএনপির ঘাতক চরিত্র বেপরোয়া হয়ে উঠে। এই মাসে দলটি সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। কাদের বলেন, ‘শেখ কামালের জন্মদিনে আবাহনী মাঠে ও বনানী কবরস্থানে এত মানুষ, এত তরুণের সমাবেশ। এতে এটাই প্রমাণ হয়, আমরা প্রস্তুত। হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি আমরা রুখবই। এটা আমাদের শপথ।’

শেখ কামালের স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জন্মদিনের আনন্দ হারিয়ে গেছে পঁচাত্তরের রক্তাক্ত বিদায়ের মাধ্যমে। শহীদ শেখ কামালের কাছে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের অনেক কিছু শেখার আছে। বহুমাত্রিক প্রতিভা ও মেধার অধিকারী ছিলেন।’

কাদের বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনে ক্রিকেট ও ফুটবল, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রতিদিন দেখা যেতো শেখ কামালকে। আবার মধুর ক্যানটিনে এসে ছাত্রলীগ করতেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল হতে পারে দেশের তরুণ সমাজের কাছে রোল মডেল।’

বনানী কবরস্থানে দলীয় নেতাদের নিয়ে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের। পরে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

পরে বনানী কবরস্থান মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। 

যাযাদি/ এসএইচ