বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে ভোট হলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। এবার আমরা অপরিবর্তনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই সরকারের অধীনে আমরা কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না। একটি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

বৃহস্পতিবার (১৫ পেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়িতে নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা: ওবায়দুল কাদের

মুক্ত সাংবাদিকতা নিয়ে তিনি বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতা এই সরকার অনেক আগেই ধংস্ব করে দিয়েছে। তারা বিভিন্ন আইন দিয়ে সাংবাদিকদের সত্য কথা বলা এবং লিখা একবারেই বাধা নিষেধ তৈরি করেছে। সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন এসব এখন অহরহ হচ্ছে যার কারণে কেও সাহস করে আর সত্য লিখছে না।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি পাকিস্তান আমল থেকেও খারাপ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমরা পাকিস্তান আমলে আর্থিক ও জীবন যাত্রার দিক থেকে এর থেকে ভালো ছিলাম। তারপরেও পাকিস্তান সরকার যেহেতু আমাদের অধিকার ও সম্পদ হরণ করতো, এদেশে শোষণ লুটপাট করতো সে কারণে আমরা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এখন তার থেকেও খারাপ অবস্থায় আমরা আছি। পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার ছিল কোটিপতি, এখন দেশে ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটিপতি আছে। এখানে গরিব মানুষের অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। ৪২% দারিদ্রসীমার নিচে যে দেশ সে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ কিভাবে বলা যায়।

এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন সহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ মাসুদ,আনসারুল ইসলাম সহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি ব্যারিস্টার সুমনের বিমান প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন মির্জা ফখরুলের ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর চালু করতে না পারাটা ছিলো লজ্জ্বার, এ প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এসব কথা বলে তাকে প্রভোক করা যাবে না। তিনি বলেন, যে সময় আমি বিমান প্রতিমন্ত্রী ছিলাম তখন এ অঞ্চলের কেন্দ্রস্থল সৈয়দপুরেই চলত সপ্তাহে ৪ থেকে ৫টি ফ্লাইট। ঠাকুরগাঁও এ ফ্লাইট চালুর কোনো অবস্থাই ছিল না। নিজেকে 'সম্পূর্ণভাবে দেশপ্রেমিক মানুষ' হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের জন্য উপুযুক্ত নয়, সেটা নিয়ে দেশের ক্ষতি করার পক্ষে আমি নই।