কোনো নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগ পরোয়া করে না : কাদের
প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:২৮ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৩০
১৯৭১ সালের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থামাতে পারেনি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ ভিসা নীতি প্রয়োগ বা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না। আওয়ামী লীগ পরোয়া করে দেশের জনগণকে। কোনো দেশের ভিসা নীতি বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রে প্রভাব রাখতে পারবে না। জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই দেশের গণতন্ত্রের পথরেখা নির্ধারিত হবে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতাদের মনে রাখা উচিত, ৪৮ ঘন্টা আলটিমেটাম, ৪৮ মিনিটও রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি তারা; কোনো আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদার মানবিকতার কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও নিজ বাসায় বসবাস করছেন এবং নিজের পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন দলটির নেত্রী।
জনগণ আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো ধরনের অপতৎপরতাকে প্রতিহত করবে দেশের জনগণ। জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই দেশের গণতন্ত্রের পথরেখা নির্ধারিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতৃবৃন্দের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু বিএনপি তা না করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে আইনবিরোধী কথাবার্তা বলছে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে গায়ের জোরে ফ্যাসিস্ট কায়দায় দাবি আদায়ের জন্য তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন এবং রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা থেকে সরে আসুন। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের প্রধান ঠিকানা বিএনপি। তাদের হাতে ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। জাতিকে বিভক্ত করার দুরভিসন্ধি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এ দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক চেতনা ও সংস্কৃতিকে বিনষ্ট করার দায় তাদের নিতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়, আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কিন্তু বারবার হত্যার রাজনীতির শিকার হয়। এটাই বাস্তবতা। আজকে বিএনপি কখন যে কী বলে! তাদের ভেতরে গণতন্ত্র নেই। সম্মেলনে নামে কখন যে কি হয় তার নিজেরাই কমিটি জানেনা। তারা কীভাবে গণতন্ত্র শেখাবে আওয়ামী লীগ কে? তাদের আমলে ভোটচুরির রেকর্ড হয়েছে, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল, ওয়ান ইলেভেনের জন্য এটা অন্যতম কারণ।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুল রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম মামুন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকুর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ জসিম মাহমুদ প্রমুখ।
যাযাদি/এসএস