খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতি

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১২

যাযাদি রিপোর্ট
ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ফুসফুসে পানি জমার পরিমাণ বাড়ছে। এ কারণে মাঝেমধ্যেই পানি অপসারণ করতে হচ্ছে। থেমে থেমে জ্বর আসছে। মাঝেমধ্যেই বেড়ে যাচ্ছে শ্বাসকষ্ট। শারীরিকভাবেও তিনি খুবই দুর্বল। এজন্য একা চলাচল করতে পারছেন না। গত রোববার রাতে বাথরুমে পড়ে যান। তবে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকরা ছুটে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের একজন চিকিৎসক জানান, যে কোনো মুহ‚র্তে আবারও তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হতে পারে। সর্বশেষ সোমবার করা ইকো, আল্ট্রাসনোগ্রামসহ স্বাস্থ্যের আরও বেশকিছু পরীক্ষার রেজাল্টও আশানুরূপ নয়। প্যারামিটারগুলো ক্রমেই নিচের দিকে যাচ্ছে। 

এই চিকিৎসক আরও জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা দুর্বলতার পাশাপাশি লিভার সিরোসিসের অবস্থা গুরুতর। এ বিষয়ে দেশে উন্নত চিকিৎসা নেই। তার লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া বিকল্প নেই। লিভারের পাশাপাশি তার কিডনি জটিলতা ও ডায়াবেটিসের মাত্রাও বাড়ছে। ফলে একটি কমাতে গেলে আরেকটিতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এখন সহনশীল ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। 

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শয্যাপাশে রয়েছেন তার ছোট পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি। তিনি গুলশানের বাসা থেকে শাশুড়ির জন্য খাবার রান্না করে নিয়ে যান। 

প্রসঙ্গত, ৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া কিডনি, ফুসফুস, হৃদরোগ, লিভার জটিলতায় ভুগছেন। গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন। চিকিৎসকরা জরুরি ভিত্তিতে তার লিভার প্রতিস্থাপনে জোর দিচ্ছেন। যা বাংলাদেশে সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন। কিন্তু আইনের মারপ্যাঁচে বারবার আবেদন করেও খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে পারছেন না।

যাযাদি/ এস