আরেকটি ‘মেকি সরকারের’যাত্রা শুরু হয়েছে : রিজভী 

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৬

যাযাদি ডেস্ক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতির ইতিহাসে ডামি প্রার্থী, ডামি ভোটার, ডামি এজেন্ট, ডামি পর্যবেক্ষক, ডামি ফলাফল, ডামি এমপি, ডামি শপথের মধ্যদিয়ে ওয়ান ইলেভেনের কৃষ্ণতম দিবসে একদলীয় ফ্যাসিবাদের হুঙ্কারে আরেকটি কৃষ্ণতম মেকি সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে।’

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘ভুয়া ভোট শেষ হতে-না হতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশিরাতের সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই গেজেট জারি, তড়িঘড়ি শপথ ও নজিরবিহীন দ্রুততায় সরকার গঠনের ঘটনা প্রমাণ করে এক অজানা ভীতি-আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে তাকে। সবকিছু অবৈধ-ভুয়া আর জালিয়াতির আবর্তে তাসের ঘরের ওপর সিংহাসন পাতলে এমন নির্ঘুম অনিশ্চয়তার আতঙ্কে জীবন পতিত হয়।’

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে, ফ্যাসিস্ট সরকারকে জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে চ‚ড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এর সঙ্গে জড়িত প্রক্রিয়া, ব্যক্তি, ফলাফল, শপথ, সংসদ, সরকার সবকিছুই প্রত্যাখ্যাত, অগ্রহণযোগ্য।’

ওয়ান-ইলেভেন দিবসে শপথ নেওয়ার ঘটনার বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির এই দিনে গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনকশার মাধ্যমে দেশটাকে প্রভুদের করদ রাজ্যে পরিণত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় আবারও সেই একই দিনে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করল ডামি ভোটের অসাংবিধানিক, প্রভুদের আজ্ঞাবাহী হাসিনার সরকার। দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার সুদুরপ্রসারি ষড়যন্ত্র তারা সফল করল। এটা বাকশাল-২।’

নির্বাচন নিয়ে থলের বিড়াল বেরুচ্ছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের পরাজিত নেতারাই অবৈধ ভোটের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছেন। এবার যে নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হয়েছে তা নিজেরাই সংবাদ সম্মেলন করে তুলে ধরছেন। সংসদে বিদ্যুৎ বিক্রি করা এক গানের শিল্পী বলেছেন, মৃত মানুষ, বিদেশে আছে তাদের ভোটও দেওয়া হয়েছে, আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ বলেছেন, ‘নির্বাচনে অলৌকিক শক্তি কাজ করায় ভোটে কারচুপি হয়েছে। একচেটিয়া ভোট ডাকাতি হয়েছে।’ বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেছেন, ‘ভোটের ফল একহাতে তৈরি করা হয়েছে; একজন বলেছেন, গণভবন থেকে ফলাফল এসেছে।’ পরাজিত কিংস পার্টির এক নেতা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা তামাশার নাটক করেছেন।’ কাকে কত টাকা দিয়ে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছে তা প্রকাশ্যে হিসাব দিচ্ছেন পরাজিত প্রার্থীরা। থলের বিড়াল সব বেরুচ্ছে। সব অপকর্মের খবর ফাঁস করছে। এতোদিন বাংলাদেশ তথা বিএনপি বলেছে আওয়ামী লীগ ‘ভোট ডাকাত’ আর এখন আওয়ামী লীগের লোকজনই বলছে আওয়ামী লীগ ‘ভোট চোর’, আওয়ামী লীগ ‘ভোট ডাকাত’।

যাযাদি/ এসএম