শেখ হাসিনা দেশকে ভালবাসলে কখনও লুটপাট, গুম- খুন করতেন না : ডা. শফিকুর রহমান
প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৩৬ | আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪১

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান পরশুরাম পথসভা শেষে দাগনভূঞা এক বিশাল পথসভায় যোগদান করেন।
আতাতুর্ক স্কুল মাঠে (৩ ফেব্রুয়ারি) সোমবার বিকেলে বিশাল পথসভায় তিনি বলেন, আমরা চাই না শেখ হাসিনার যে করুন পরিণতি হয়েছে তা অন্য কারও হোক। সব অপকর্ম পরিহার করে সুন্দর দেশ গড়তে চাই।
আমরা অঙ্গিকার করতে চাই, আমাদের সমস্ত সুখ শান্তি উজাড় করে দিয়ে মানুষের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ১৮ কোটি মানুষের মুখে হাসি দেখতে চাই। প্রয়োজনে মৃত্যু হলেও মেনে নিতে রাজি আছি। তবুও মজলুমদের পাশে থাকতে চাই। শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা উসফাস করছেন।
শেখ হাসিনা যে অপকর্ম করেছেন তার ফলাফল জাতি দেখতে চায় এবং অপেক্ষা করছেন। বীর সন্তানেরা যেভাবে দেশকে স্বাধীন এনে দিয়েছেন সে সমস্ত বীব সেনাদের মধ্যে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা উচিত। ন্যায় নীতির বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য ঐক্যবদ্ধ হই।
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে দূর্ণীতিমুক্ত দেশ, মজলুমদের প্রতি সহানুভূতি, হাসিনা সকরকার শাসনামলে সবাই খুন, গুম হত্যা নিপিড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্ত আমরা সেই পথ অনুসরণ করবো না। আল্লাহর নির্দেশক্রমে আমরা কোরআন ও হাদিসের আলোকে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন পাশে থাকুন।
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে প্রয়োজনে আবার তরুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে লড়াই করার জন্য প্রস্তত থাকুন। সুখে আমাদের খবর না নিলেও দুঃখের সময় আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
খুনি হাসিনা কোরআনের পাখি আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী, মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াত ইসলামীর অনেক নেতা কর্মীকে হত্যা করেছেন। সাড়ে পনের বছর অফিস বন্ধ করে রেখেছেন। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানিসহ আমাদের দলের নিবন্ধন বাতিল করেছেন।
কিন্ত আল্লাহ অশেষ রহমতে সেই খুনি হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীরা চোরের মত পালিয়েছেন। সর্বশেষ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময় জনগনের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আওয়ামিলীগ যেসব অপকর্ম করেছেন সে পথে হাটলে পার্থক্য কোথায়! তাই সমস্ত অপকর্ম পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দর মধ্যে ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ফেনীর জামায়াত ইসলামীর গাজী মেজবাহ উদ্দিন, নুরনবী দুলাল, দাগনভূঞা উপজেলার আমীর গাজী সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, পিডিবির চেয়ারম্যান নজির আহমেদসহ হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
যাযাদি/ এমএস