বামনায় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার চাঁদাবাজির কল রেকর্ড ফাঁস
প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩২

বরগুনার বামনায় বিএনপি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলার বাদী স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার চাঁদা দাবির একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ওইস্বেচ্ছাসেবক দল নেতার নাম মো. ইসমাইল হোসেন সোহাগ। তিনি বামনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ।
অডিওতে শোনা গেছে তিনি বামনা বিএনপি অফিস ভাঙ্গা মামলার বাদী হিসাবে ওই মামলা থেকে বাদ দিতে একজন আসামীর নিকট চাঁদা দাবী করছেন।
এদিকে ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ড তার নিজের নয় দাবী করে ওই নেতা নিজের ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করে লিখেছেন অডিও ফাঁসকারী ছাত্রলীগ নেতা রাফান জোমাদ্দার আকাশ নামে কাউকে তিনি চিনেন না।
অপর দিকে ছাত্রলীগ নেতা রাফান জোমাদ্দার আকাশ তার ফেসবুকে লিখেছেন, মমলার বাদী যদি তাকে না চিনেন তাহলে কিভাবে তাকে আসামী করেছেন। বর্তমানে বামনা উপজেলা ব্যাপী ওই অডিও রেকর্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন আড্ডায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ছাত্রলীগ নেতা রাফান জোমাদ্দার আকাশ তার ফেসবুকে এ অডিওটি ফাঁস করেন। অডিওতে শোনা গেছে, ওই ছাত্রলীগ নেতা উপজেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুরের মামলার বাদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল যুগ্ম আহবায়ক মো. ইসমাইল হোসেন সোহাগকে ফোন করেন।
ফোনে ওই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আমি বিগত ১৬ বছরে কিছুই করতে পারিনি। টিআর,কাবিখা এসবের শুধু নামই শুনেছি এখন আপনাকে যা দিতে হবে তা মহারাজ ভাইয়ের কাছ থেকে এনে দিতে হবে। এখন কয়টাকা দিতে হয় বলেন আমি এনে দেই। অপর দিকে ওই স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা বলেন, ওই হালারে ফোন দে(জনৈক এক পুলিশ সদস্য) ওরে ক। জবাবে ছাত্রলীগ নেতা বলেন, সেতো মোরে দশ এর কথা বলছে এখন আপনি যেটা বলবেন সেটা। জবাবে আবারো মামলার বাদী বলেন, মোরে কয় ত্রিশ আর তোরে কয় দশ হালারে লাগে এহন কেনু। ছাত্রলীগ নেতা বলেন ত্রিশ হাজার? সে যদি আপনাকে ত্রিশ হাজার বলে থাকে তাহলে আমি এতো টাকা পামু কই বলেন? ওই নেতা বলেন, এহন তুই যা দেও যা হরো হ্যার লগে কথা কইয়া হর। তুই আবার রেকর্ড কইরা মোরে ভোগে হালাইস না।
জানাগেছে, ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরে গত ৭ নভেম্বর বামনা বিএনপি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে ১১৬জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহবায়ক মো. ইসমাইল হোসেন সোহাগ। ওই মামলায় বামনা উপজেলার আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিকলীগসহ ১১৬জনকে আসামী করা হয়।
ওই মামলায় বামনা থেকে প্রকাশিক দৈনিক সাগরকূল সম্পাদক ও প্রকাশক মো. নেসার উদ্দিনকেও আসামী করা হয়।
এব্যপারে সাগরকূল পত্রিকার সম্পাদক মো. নেসার উদ্দিন জানায়, মামলায় যে সময় ও তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে সে সময় আমি বামনাতে ছিলাম না। অথচ আমাকে সেই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বর্তমানে অনেক অডিও রেকর্ড ফাঁস হচ্ছে যাতে শোনা যাচ্ছে মামলার বাদি মামলা থেকে বাদ দিতে কয়েকজন আসামীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবী করছেন।
অপরদিকে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার করা হচ্ছে দাবি করে বামনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং- ৬৫৭) করে ।
যাযাদি/ এমএস