পল্টনে জামায়াতের সমাবেশ শেষ বিএনপির শুরু, লোকারণ্য আশপাশ

প্রকাশ | ০১ মে ২০২৫, ১৩:৪১

যাযাদি ডেস্ক
সমাবেশে জনতার একাংশ

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর পল্টনে সমাবেশ করছে বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 

সমাবেশগুলো হচ্ছে দুই দলের অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ব্যানারে। এর মধ্যে শ্রমিক দলের সমাবেশ হচ্ছে নয়া পল্টনে ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সমাবেশ হচ্ছে পুরনো পল্টনে।

ব্যাপক জনসমাগমের মধ্য দিয়ে মহান মে দিবসের কর্মসূচি পালন প্রস্তুতি নিয়েছে জামায়াত-বিএনপি। 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়া পল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসছিলেন নেতা কর্মীরা। অন্যদিকে জামায়াতের সমাবেশও লোকারণ্য ।

দুপুর ২টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই শ্রমিক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

এ ছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারাও বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে শ্রমিক দল তাদের ১২ দফা দাবি তুলে ধরবে।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এই শ্রমিক সমাবেশ হলেও দীর্ঘদিন পর এটি বিএনপির মাঠের কর্মসূচি। দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার থাকা বিএনপি এই শ্রমিক সমাবেশের মধ্য দিয়েও দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানাবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এতে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।

অন্যদিকে রাজধানীর পল্টন মোড়ে সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। 

সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে পল্টন মোড়ে আসেন নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শ্রমিক দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়।  আর প্রধান অতিথি জামায়াতে আমির ডা. শফিকুর রহমানে বক্তব্য রাখার পর সমাবেশ শেষ। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, এদিন সকাল ৮টার পর থেকেই রাজধানীর বাড্ডা, মিরপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, মগবাজার থেকে নেতাকর্মীরা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী পল্টন মোড়ে জড়ো হন।

শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এছাড়া কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর নেতারা বক্তব্য রাখছেন।