জামায়াতপন্থী মুয়াজ্জিন আজান দিতে ও ঈমাম নামাজ পড়াতে পারবে না: হাবিব
প্রকাশ | ১৮ মে ২০২৫, ১০:৪৪ | আপডেট: ১৮ মে ২০২৫, ১৩:১০

'পাবনার আটঘরিয়ায় জামায়াতের কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না, জামায়াতের কোনো ঈমাম নামাজ পড়াতে পারবে না' বলে হুশিয়ারি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব।
শনিবার (১৭ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এদিন বিকেলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আটঘরিয়ায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে এইসব কথা বলেনন তিনি।
ভিডিওতে তিনি বলেন, দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তো নেবেই। তার সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু আমি আজকে বলবো, ভবিষ্যৎ তো পরে। আটঘরিয়ায় কোনো মসজিদে জামায়াতের কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না, জামায়াতের কোনো ইমাম ইমামতি করতে পারবে না। গত শুক্রবার দেবোত্তর বাজার জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ মসজিদে পড়তে পারেনি মানুষ। তালা দিয়ে পালিয়েছে। কতটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
হাবিব বলেন, তারা মিথ্যা কথা বলে। এদের পেছনে নামাজ হয় না। এরা স্বাধীনতা বিরোধী রগ কাটা গ্রুপ। এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। পাকিস্তানের দোসর ছিল। তাই আটঘরিয়াবাসীকে আহবান জানাবো এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
জামায়াতের অফিসে কোরআন ও হাদিস পোড়ানোর বিষয়ে হাবিব বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা কোরআন পোড়ায়নি। তারা (জামায়াত) নিজেরাই কোরআন পুড়িয়েছে। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী কোরআন পোড়াতে পারে না- এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। যদি বিএনপির নেতাকর্মীদের কোরআন পোড়ানোর ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেন তাহলে সমস্ত দায় দায়িত্ব আমি নেব। আর আমাদের যে একশ'টি মোটরসাইকেল ভাঙছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তাদের।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলসহ একাধিক দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।