রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত
আটঘরিয়ায় বিএনপি জামায়াতের ঠান্ডা লড়াই
প্রকাশ | ১৯ মে ২০২৫, ১১:৫০ | আপডেট: ১৯ মে ২০২৫, ১৩:২৩

অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে, দ্বন্দ্ব শুরু দেবোত্তর ইউনিয়নের পাটেশ্বর গ্রামের জালালের ছেলেকে বাবুকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা লাঞ্ছিত করায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ারুল আলমের নেতৃত্বে সেখানে ১১ মে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলে জামায়াত ও আওয়ামী লীগকে দ্বায়ী করে বক্তব্য রাখা হয়।
অপরদিকে চাঁদভা ইউনিয়নের সরাবাড়িয়া বাজারে নূরুল আলমের ওয়ার্কশপে বিএনপি-জামায়োতের গোলযোগ হয়।
এরপর হঠাৎ করেই পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে বর্তমানে চলছে ঠান্ডা লড়াই ও দ্বন্দ্ব। এখানকার ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র উত্তোলকে কেন্দ্র করে চরম দ্বন্দ্ব শুরু।
বৃহস্পতিবার ১৫ মে প্রথমে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন আটঘরিয়া উপজেলার বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আছিম উদ্দিন, একই দিন উপজেলা জামায়াতের আমীর নকিবুল্লাহর নেতৃত্বে মনোনয়নপত্র তুলতে গেলে ঘটে বিপত্তি।
এ সময় উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। পরে বিকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে জামায়াতের প্রায় হাজারের বেশি সমর্থক জড়ো হয়ে বিএনপির অফিস ভাঙচুর করে, এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে এবং বিএনপি অফিসের সামনে প্রায় ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেল ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করে।
পরে বিকালে বিএনপি'র কতিপয় সমর্থক জামায়াতের অফিস ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় দেবোত্তর বাজারের সমস্ত দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
এসব ঘটনার পরের দিন শুক্রবার ১৬ মে সকাল ১০ টার দিকে জামাতের উদ্যোগে তাদের অফিসের সামনে জামায়েত হয়ে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
প্রতিবাদ সভায় জেলা জামাতের আমীর আবু তালেব মন্ডল সহ সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বিএনপিকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলদার সংগঠন বলেও দাবি করে তাদের অফিসে অগ্নিসংযোগ ও কোরআন পড়ানোর অভিযোগ করেন।
একই দিন বিকালে উপজেলা বিএনপি'র উদ্যোগে বিশাল প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ারুল আলম বক্তব্য রাখেন।
জনাকীর্ণ সাংবাদিক ও জনতার উপস্থিতিতে তিনি বলেন, জামায়াত একটি কিঞ্চিত সন্ত্রাসী দল, স্বাধীনতা বিরোধী দল, তারা বাইরে থেকে লোক জড়ো করে ককটেল মেরে, লাঠি-সোটা, রডসহ তান্ডব চালিয়েছে এবং পরিকল্পিতভাবে নিজেরা কোরআন পুড়িয়ে তার দায় বিএনপির উপর চাপিয়ে তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, বিএনপি তাদের যেকোনো আপাতৎপরতা প্রতিহত করবে।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে আটঘরিয়া বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে পরস্পর বিরোধী মামলা হয়েছে এবং উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশত কর্মী হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ ঘটনায় এখন দেশব্যাপী ভাইরাল। বর্তমানে আটঘরিয়াতে উভয় দলের মধ্যে রয়েছে ঠান্ডা লড়াই ও দ্ব›দ্ব। পরবর্তীতে পাবনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জেমকে কেন্দ্র করে ভাইরাল হওয়া এক বক্তব্যে বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতিতে প্রভাব পরেছে বেশি।
দলীয় ঊর্ধ্বতন নেতাদের হস্কক্ষেপ ছাড়া যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শতর্ক অবস্থায় আছে বলে জানা গেছে।