চট্টগ্রামে জুলাই ঐক্যের সমাবেশে নেতারা

সরকারকে কাজ করতে দিচ্ছে না কিছু রাজনৈতিক দল

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২৫, ১৮:২৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: যায়যায়দিন

কয়েকটি রাজনৈতিক দল অধ্যাপক ইউনূসকে ঠিকঠাক কাজ করতে দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই ঐক্যের সমাবেশের নেতারা। তারা বলেছেন, ‘জুলাই শহীদদের রক্তের বিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্বে বসানো হয়েছে। অথচ কিছু রাজনৈতিক দল তাকে কাজ করতে দিচ্ছে না।’ 

আজ শুক্রবার (২৩ মে) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন নেতারা।  

‘জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ’ শিরোনামে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জুলাই ঐক্য চট্টগ্রাম। এর আগের নগরের আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদ থেকে মিছিল নিয়ে আসেন নেতা-কর্মীরা।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ বলেন, ‘জুলাই শহীদদের রক্তের বিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্বে বসানো হয়েছে। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল অধ্যাপক ইউনূসকে ঠিকঠাক কাজ করতে দিচ্ছে না। যারা ক্ষমতার মোহ নিয়ে পাগল হয়ে আছেন, তাদের বলতে চাই, আপনারা এখনো তাদের দাসত্ব করছেন, যারা আওয়ামী লীগের দাসত্ব করে।’

সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন জুলাই ঐক্য চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী আবরার হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুবাইরুল আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ইবনে হোসাইন, যুগ্ম সদস্যসচিব রাশেদুল আলম প্রমুখ।

বেলা দুইটার দিকে আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদ থেকে মিছিল শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। পরে মিছিলটি নগরের চেরাগী মোড় হয়ে প্রেসক্লাব মোড়ে আসে। সেখানে সমাবেশ হয়। জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ৩৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে ‘জুলাই ঐক্য’ নামের এই প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করে ৬ মে।

জুলাই ঐক্য চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী আবরার হাসান বলেন, ‘দেশের বাইরে ও ভেতর থেকে একটি পক্ষ দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। ভারতীয় পরিকল্পনায় দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, যদি জুলাইকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে আবার জুলাই হবে। দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে। যারা ঘাপটি মেরে বসে আছে, তাদের সবার সামনে আনতে হবে।’ 

আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হলে আবারো বিপ্লব হবে বলে তারা উল্লেখ করেন। 

বক্তারা বলেন, ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আর মাত্র ২০ দিন বাকি। এ ২০ দিনের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে। যারা আওয়ামী লীগকে প্রধান বিরোধী দল করে নির্বাচন করতে চাইছেন, তাদের সফল হতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।