জাকির খানকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে ছাড় দেয়া হবে না: সলিমুল্লাহ সেলিম

ছবি: যায়যায়দিন

নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের আহবায়ক সলিমুল্লাহ করিম সেলিম বলেছেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে নিয়ে নিজ দলের কুচক্রী মহল বিগত ২০ বছর ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। 

ষড়যন্ত্র করে একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কারাভোগও করাইছে। এমনকি সেই মামলায় মিথ্যা প্রমানিত হওয়ার পরও মুক্তি পাওয়ার সময়ও বাধাগ্রস্ত হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে ষড়যন্ত্রকারীদের সকল বাধা উপেক্ষা করে জাকির খান মুক্তি পেয়ে জনগনের ভাল বাসায় সিক্ত হয়েছেন। 

এখন আবার নতুন করে চক্রান্ত শুরু করছে। তার নাম ভাঙ্গিয়ে নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজি হচ্ছে। কোন কোন ব্যবসায়ীকে জাকির খান বলে চাঁদা দাবিও করছে। ষড়যন্ত্রকারীরা যতই চক্রান্ত করে থাকুক না কেন আল্লাহ যদি সহায় হয় হাজারো চক্রান্ত করে জাকির খানের কিছুই করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। আমরাও গোয়েন্দা সংস্থাকে বলছি তদন্ত করে আসল অপরাধীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য। জাকির খানকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে কোন ভাবে ছাড় দেয়া হবে না। 

বুধবার (৪ জুন) বিকালে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার চর সৈয়দপুর এলাকাস্থ গোগনগর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বাষিকী পালনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।।

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে জাকির খানের জনপ্রিয়তা দেখে প্রতিহিংসা করে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটিতে রয়েছে তাদের কেউ কেউ তাদের লোক দিয়ে গার্মেন্টের মালিককে ফোন করে নিজেকে জাকির খান পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করছে। অথচ জাকির খান নিজে কোন ফোন ব্যবহার করে না। কারো সাথে কথা বলার দরকার হলে আমাদের মোবাইল দিয়ে ফোন করে। আর জাকির খানের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে কেউ কোথায় চাঁদাবাজি করলে আমার কানে আসলে পরিনাম ভয়াবহ পরিনত হবে। আর জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বাষিকী পালনে কোথায়ও থেকে এক টাকা চাঁদা আদায় করার প্রমান পেলে তাকে কোন ভাবে ছাড় দিবে না। আর সেই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলছে। 

সলিমুল্লাহ করিম সেলিম আরো বলেন, আজকে এমন এক নেতার শাহাদাৎ বাষিকী পালন করতে এখানে এসেছি যেই নেতার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। আর জিয়াউর রহমান জনগণের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। দেশ বিদেশের চক্রান্তে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। জিয়াউর রহমান বেচে থাকলে বাংলাদেশ আজ ইউরোপীয় রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত পেতো সারা বিশ্বে। আমরা সেই নেতার আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করছি।

 বিশেষ করে আমাদের নেতা জাকির খান জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করছে বিধায় এখনো জনপ্রিয়তা নিয়ে রাজনীতিতে টিকে রয়েছে। জাকির খান সাহেব সব সময় শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের সৈনিক হিসেবে দলের জন্য কাজ করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন কোন কিছুই করতে পারবে না। 

অনুষ্ঠানে গোগনগর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সানেক সভাপতি তাহের মাদবরের সভাপতিত্বে এবং একই ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান দুদুর সার্বিক তত্বাবধানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর প্রজন্ম দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন রতন, জেলা প্রজন্ম দলের সদস্য সচিব রায়হান উদ্দিন জিল্লু, মহানগর যুবদল নেতা পারভেজ মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ। 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপি সহসাংগঠনিক সম্পাদক সোলয়মান, মহানগর প্রজন্ম দলের সিনিয়র সহসভাপতি আহম্মেদ আলী, প্রজন্ন দলের নেতা মো শাহিন সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।