শেখ হাসিনা ও মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আরো দুই মামলা

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২৫, ০০:৩৩ | আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০০:৫০

গাজীপুর প্রতিনিধি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

গাজীপুরে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে হত্যায় জড়িত ও প্ররোচনার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শাজাহান খানসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এর আগে কালিয়াকৈর থানায় আরও পাঁচটি মামলা করা হয়েছিল।

গত বছরের ৫ আগস্ট বিকেলে গাজীপুরের সফিপুর আনসার একাডেমির ৩ নম্বর গেটের সামনে ছাত্র ও জনতার একটি মিছিল হয়। ওই মিছিলে গুলিবর্ষণ ও লাঠিপেটার মাধ্যমে দুজন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার নারাচাতল গ্রামের মো. রোস্তম মিয়া (৪৬)। অপরজন হলেন বগুড়া সদর থানার কুটুরবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকার মজনু প্রামাণিকের ছেলে মো. মাহফুজ (৩৫)।

রোস্তম মিয়ার স্ত্রী শেফালী বেগম গত সোমবার কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেন। মাহফুজের ভাই আপেল মাহমুদ আদালতের শরণাপন্ন হলে ৩০ মে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থানায় মামলাটি করার নির্দেশ দেন।

মাহফুজের পরিবারের দাবি, তিনি ইন্টার সফট লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন। ওই দিন বিকেলে কাজ শেষে তিনি ছাত্র–জনতার মিছিলে যোগ দেন এবং সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।


রোস্তম মিয়ার পরিবারের অভিযোগ, তিনি আহাম্মদনগর এলাকায় একটি বাড়িতে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনিও মিছিলে যোগ দিয়ে সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হন।

মাহফুজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকার মোশারফ হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী। মামলায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।


রোস্তম মিয়া হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আ ক ম মোজাম্মেল হককে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবির, মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা। এতে ৩১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, আদালতের নির্দেশে দুটি মামলা করা হয়েছে।