রিজভী নির্বাচনে যে আসনে প্রার্থী হতে পারেন
প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২৫, ১০:০৪

অন্তর্বর্তী সরকার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করার পর পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। পাশাপাশি তৎপর হচ্ছে নির্বাচন কমিশনও।
জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। মৌলিক সংস্কারের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নানা সন্দেহ-সংশয়ের অবসান হয়েছে। তারাও এখন নির্বাচনি মাঠ গোছাতে তৎপর। এর বাস্তব চিত্র দেখা গেছে রাজশাহীর বিভিন্ন সংসদীয় আসনে। কিন্তু বিএনপিসহ কয়েকটি দলের প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ায় তাদের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তদবির করছেন। পাশাপাশি পরিচিতি পেতে এলাকায় শুভেচ্ছা পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারের মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন। অন্যদিকে চার মাস আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াত। দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তারা নির্বাচনি কার্যক্রমও চালাচ্ছে।
রাজশাহীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই আসনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এলাকাটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর বেশ কয়েকবার দলটির প্রার্থীরা এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দলের বেশ কয়েকজন প্রার্থী সরব আছেন।
এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে বিএনপির তিন নেতার নাম আলোচনায় এসেছে। তাদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। এর পরই জল্পনা-কল্পনার শীর্ষে আছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। এ আসনে আরো ভোট করতে চান মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। তারা সবাই মাঝে-মধ্যে গণসংযোগ করছেন।
অন্যদিকে এ আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে কারো নাম ঘোষণা করেনি জামায়াত। প্রার্থী চূড়ান্ত না করলেও দলটির সাংগঠনিক তৎপরতা ব্যাপক। থানা, ওয়ার্ড ও মহল্লা পর্যায়ে নিয়মিত গণসংযোগ করছে দলটির নেতারা। একই সঙ্গে জনপ্রিয় নেতাকে প্রার্থী দেওয়ার জন্য গোপনে ভোট নিচ্ছে জামায়াত। এ কার্যক্রম শেষ হলেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে দলটি।
জানা গেছে, প্রতি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির অন্তত পাঁচজন করে। জামায়াতে ইসলামীর রয়েছে একক প্রার্থী। ইসলামি অন্য দলগুলো এখনো পুরোপুরি মাঠ গোছাতে পারেনি। অন্যদিকে সব এলাকায় কমিটিই দিতে পারেনি নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।