ঐকমত্যের সংলাপে জামায়াত কেন আসেনি, মন্তব্য করবে কমিশন, আমরা না: সালাহউদ্দিন আহমদ

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২৫, ১৬:১৫

যাযাদি ডেস্ক
সালাহউদ্দিন আহমদ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপে সব রাজনৈতিক দল উপস্থিত থাকলেও আলোচনায় অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংলাপের বিরতিতে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এ বিষয়ে ঐকমত্য কমিশন মন্তব্য করবে, আমরা না।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু হয়। আধা ঘণ্টা দেরিতে বৈঠক শুরু হলেও জামায়াতের কোনো প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদের আসনের পাশের আসনটি জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের জন্য রাখা হয়। তবে তা খালি দেখা যায়।

বৈঠকে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সালাহউদ্দিন আহমদ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে জানিয়ে বলেন, আস্থা ভোট ও অর্থ বিল—এই দুই বিষয় বাদে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন। এ বিষয়ে সার্বিক ঐকমত্য হয়েছে।

আরও কয়েকটি দল তাদের পক্ষ থেকে সংবিধান সংশোধনী বিলের সঙ্গে নিজ নিজ অবস্থান যুক্ত করেছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকেও লিখিত প্রস্তাবে উল্লেখ করেছি, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় যেমন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সংসদ সদস্যরা স্বাধীন থাকবেন না—সিদ্ধান্ত হয়েছে। আস্থা ভোট ও অর্থ বিল জাতীয় সনদে উল্লেখ থাকবে এবং এতে সবাই স্বাক্ষর করবেন। বাকি দুই বিষয়ে আমাদের অবস্থান সংযুক্ত থাকবে এবং আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তা অন্তর্ভুক্ত করব।

সংসদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির নেতৃত্বে বিরোধীদলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়েও অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। তিনি বলেন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, প্রিভিলেজ কমিটি, ইস্টিমেশন কমিটি এবং পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটিগুলোতে সভাপতির পদ আসনের ভিত্তিতে বিরোধী দলপ্রাপ্ত হবে। এ নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে।

নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০০ আসনের প্রস্তাব নিয়েও সর্বসম্মত মত হয়েছে জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তবে এই আসনগুলোর নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।